পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-আসোয়ানের গ্রানাইট পাহাড় ১৩৯ ফলক ছড়ান রহিয়াছে-ভূমি পীত-রক্ত স্বর্ণরেণুসদৃশ বালুকাময় মরুদেশ। উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর চিহ্নমাত্ৰ নাই। গর্দভ ও উষ্ট্রই এই অঞ্চলের একমাত্ৰ প্ৰাণী। স্থানে স্থানে আধুনিক মুসলমানদিগের ইষ্টকনিৰ্ম্মিত কববসমূহ মরুপৃষ্ঠে বিরাজমান। পাহাড়ের উপর উঠিয়া দেখিলাম ৫ • • • বৎসর পূর্বে মিশরীয়েরা পাহাড় কাটিতেছিল, পাথরের টুকরা তৈয়ারী করিতেছিল, এবং ওবেলিস্ক নিৰ্ম্মাণ করিতেছিল, দৈবক্রমে সেই-সমুদয় স্থগিত হইয়া গিয়াছে। অৰ্দ্ধসমাপ্ত ওবেলিস্ক বালুকার উপর পড়িয়া রহিয়াছে। পাথরকাটা সম্পূর্ণ হইতে পারে নাই। পর্বতগাত্রে বাটালির চিহ্ন এখনও বৰ্ত্তমান। দেখিয়া মনে চাইতেছে যেন এই মাত্ৰ কারিগরেরা কাজ সম্পূর্ণ করিয়া বিদায় গ্ৰহণ করিয়াছে । বিশ্রামের পর ফিরিয়া আসিয়া আবার কাজে লাগিবে। পাহাড়ের যেদিকে তাকাই সেইদিকেই বিস্তীর্ণ পাৰ্বত্য মরুভূমি। মরুভূমির উপর অসংখ্য শিলাখণ্ড । জনপ্ৰাণীর সাড়া শব্দ নাই সহস্ৰ সহস্ৰ প্ৰস্তরশিল্পীর আসনে এক্ষণে রৌদ্র ও বায়ুর অবিরাম অভিনয় চলিতেছে MDBB BS BDD D DB S TKY KBBB DB BB DDDD DDD নাই। পাহাড়ের গায়ে হাতুড়ির সাহায্যে বাটালি বসাইবার নিয়ম ছিল। রেখার মাপ অনুসারে ফ্যারাওর কারিগরেরা পর্বত গ্রাত্রে আঘাত করিত। সেই রেখার মাপ, সেই বাটালির ছিদ্র, সেই প্ৰস্তরফলকের রাশি, সেই পাহাড় কাটার দাগ আজও দেখিতে পাইলাম ! গ্রানাইটের খনি ও পর্বত দেখা হইল। এক্ষণে নগরের পূর্বদিকস্থ গ্রানাইট-মরুর প্রান্তর দিয়া বরাবর উত্তরে অগ্রসর হইলাম। অল্পদুর যাইয়াই দেখি একটি প্ৰাচীন মিশরীয় রীতির পল্পী। আমাদের পথপ্ৰদৰ্শক বলিলেন “এই গ্রামের নাম বিশেরিন। লোকের মুসলমান ।