পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 R 6न् छ९ গ্ৰীক পৰ্য্যটকের বিহারের “হিরণ্যবাহু” নদীর নাম বালুকার বর্ণ দেখিয়াই দিয়াছিলেন । হুয়েন্থসাঙ্গের ভারতবিচরণেও এই সুবৰ্ণ নদীর সংবাদ পাওয়া যায় । কিন্তু ২০৩০ মাইল বিস্তৃত আবেষ্টনের সর্বত্র উদ্ধে ও নিমে, স্বর্ণরেণুর স্তর এই প্ৰথম দেখিলাম । মৰ্ম্মরশৈলের পৃষ্ঠদেশে দাড়াইয়া সমস্ত নাইল উপত্যকার দৃশ্য দেখিয়া লইলাম। লুকুসর ও কাৰ্ণাক পৰ্য্যন্ত আসিতে আসিতে ভাবিয়াছিলামমিশরের একস্থান দেখিলেই সকল স্থান দেখা হইল-মিশরের প্রাকৃতিক দৃশ্য সৰ্ব্বত্রই একরূপ । আজ মৰ্ম্মরশৃঙ্গ হইতে চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বুঝিতেছি—মিশরের সর্বদক্ষিণ প্ৰান্তে, নিউবিয়ার উত্তরাঞ্চলে, আসেয়ানের এই পার্বত্য মরু প্ৰান্তরে সে কথা খাটে না । এখানে অভি~ নব জগৎ, নূতন দৃশ্য, নূতন ক্ষেত্র, নূতন দিঙামণ্ডল, নূতন সৌন্দয্যের আকর । উত্তরে, দক্ষিণে, পূর্বে, পশ্চিমে সর্বত্রই পর্বতশৃঙ্গসমূহ দাড়াইয়া ভিতরকার উপত্যকার উপর দৃষ্টিনিক্ষেপ করিতেছে। এই আবেষ্টনের মধ্যে বাহিরের কোন শক্তি প্ৰবেশ করিতে পারে না । কেবল উত্তর হইতে বায়ুর প্রবল নিঃশ্বাস এবং উদ্ধ হইতে অগ্নিময় রৌদ্রতাপ এই উপত্যকার উপর প্রভাব বিস্তার করিতেছে । মৰ্ম্মরশৈলের পশ্চাদভাগেই উচ্চতর গ্রানাইট পর্বত উত্তরে দক্ষিণে লম্বমান। সম্মুখে পশ্চিম দিক। পাদদেশে সুবৰ্ণরঞ্জিত মরুপ্ৰান্তরপ্ৰান্তরের উপর কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুষ্ক নাইল-স্মৃত্তিকার ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ কুটীরের পল্লী উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত রহিয়াছে। এই স্বর্ণাভি মরুক্ষেত্রের উপর কৃষ্ণ “গালাবিয়া’-পরিহিত কৃষকগণ চলাফেরা করিতেছে । তাহার পর একসারি খেজুর বৃক্ষ নদীর কিনারায় শীতল ছায়া বিতরণ করিতেছে। সেই ছায়া উপভোগ করিবার জন্য কোন পাখী, জন্তু বা নরনারী দেখিতেছি না। দক্ষিণ দিকে খেজুর-কুঞ্জের ভিতর আসোয়ান