পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У 6. o दरéभन ऊ१९ পড়িল না। যাঁহাতে নৌকা হ্রদ হইতে সহজেই খালের ভিতর দিয়া নদীতে যাইতে পারে তাহার জন্যই দুইটা ফটিক সৃষ্ট হইয়াছে। প্ৰথম ফাটক খুলিবামাত্র হ্রদের জল প্ৰথম খালে ঢুকিল—তাহার ফলে দুই জলভাগ এক সমতল হইয়া গেল। আমাদের নৌকা নির্বিঘ্নে খালে চুকিল। খালে ঢুকিবামাত্র পশ্চাদ্বাৰ্ত্তী ফটক বন্ধ করা হইল। এক্ষণে আমরা নদী হইতে বহু-উচ্চে রহিয়াছি। কাজেই দ্বিতীয় ফটক খুলিয়া দিয়া আস্তে আস্তে খালের জল কমান হইল। যখন প্ৰায় দুই মানুষের সমান গভীর জল বাহির হইয়া গেল তখন নদীর সঙ্গে খাল একসমতল হইল। এক্ষণে ফটক পুরাপুরি খোলা হইল। আমরা নদীতে নামিলাম । এতক্ষণ মানুষের তৈয়ারী বাধাবাধি, জলবন্ধনী, ব্যারিজ, খাল, হ্রদ, ড্যাম ইত্যাদির ভিতর ছিলাম। মিশরের নাইলে পড়িয়া ও দেখিতেছি। আবার হ্রদ, পর্বত ও বেষ্টনী । এ হ্রদ মানুষের প্রস্তুত নয়। মিশরের প্ৰকৃতি-কর্তৃকই এরূপ গঠিত হইয়াছে। চতুর্দিকেই পাহাড় দেখিতে পাই। যে দিকেই তাকাই কেবল পর্বতশৃঙ্গ—আমরা যেন পুষ্করিণীতে ভাসিতেছি। নদী এতই বক্রগতি যে প্ৰায় ১০ ০০ গজ পরিধির মধ্যে যতদূর দেখা যায় নদীপ্রবাহ দেখিতে পাই না— কেবল সরোবর মাত্র চক্ষুগোচর হয়। এইরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হ্রদসদৃশ, সরোবরসদৃশ নাইল বাহিয়া দুই ঘণ্টার মধ্যে আসোয়ানে পৌছিলাম। এই দিকে যে সকল শিলাখণ্ড দেখা গেল সবই কৃষ্ণবর্ণ গ্রানাইট প্রস্তর। পূৰ্ব্বে রক্ত-পীত গ্রানাইট দেখা গিয়াছে। কিন্তু সেই বৃহৎ জলবন্ধনী হইতে আমাদের আবাস পৰ্য্যন্ত নদীর ধারে এবং নদীর ভিতর যে-সকল পর্বতগাত্র, পর্বতশৃঙ্গ এবং উপলখণ্ড দেখিলাম। সবই মসৃণ কৃষ্ণ গ্রানাইট ।