পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Qしア বৰ্ত্তমান জগৎ কাইরো নগরে সর্বসমেত ৪৷৫টি সেতু আছে। এগুলি প্রায়ই ফরাসী এঞ্জিনীয়ার ও কারিগরদিগের নিৰ্ম্মিত । ট্রামওয়ে কেম্পানী বেলজিয়াম দেশীয় । ট্রামের প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞাপন-ফলকে দেখিলাম। ফরাসী ভাষায় লেখা আছে “গািটকাটা আছে, সাবধান !” কাইরো নগরের ভিতর অসংখ্য চোর জুখিাচোর ভদ্রবেশে চলাফেরা করে । ইহাদের মধ্যে অনেকেই ঋণ গ্রস্ত দুৰ্দশা প্ৰাপ্ত মিশরীয় ধনী-সন্তান । আবার অনেকেই গ্ৰীক, ইতালীয় ও অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যবসাদার বা হোটেলরক্ষকগণের লোকজন ! মিশরে যাতায়াত করা বড় কঠিন । বিশেষ সাবধান হইয়া চলিতে হয় । এই জন্যই দেখিয়াছি রেলওয়ে লাইনে দিবারাত্রি টিকেট ইনস্পেক্টর আসিয়া আরোহী দিগকে জ্বালাতন করে। যেখানে-সেখানে যখন-তখন পরিদর্শকের টিকেট দেখিতে চায় । মিশরীয় জনগণের সাধুতা ও চরিত্র এই নিয়ম হইতেই বেশ বুঝা যায় । যে দেশে দুনিয়ার ইত্যর ভদ্র লোক আসিয়া জমিয়াছে সেখানে জাতীয় চরিত্র সহজে বুঝা বড় কঠিন। সেখানে আইন জটিল ত হইবেই। মিশরের জাতীয় উন্নতিসাধন এই কারণে বড় কষ্টসাপেক্ষ । মিশর দুনিয়ার একটা বাজার মাত্ৰ হইয়া দাড়াইয়াছে। এ দেশ ইউরোপের যৌথসম্পত্তি-স্বরূপ বা বারোয়ারীতলা । মিশর সম্বন্ধে মিশরবাসীর হাত কোন কাজেই দেখিতে পাই না । মিশরের ভবিষ্যৎ গঠন করিবার উপায় মিশরবাসীরা স্বচেষ্টায় উদ্ভাবন করিতে সুযোগ পান না । মিশরের এই দুর্দশা জগতের অন্য কোন সমাজকে বোধ হয়। কখনও আক্ৰমণ করে নাই। আধুনিক মিশরের এই শোচনীয় অবস্থা দেখিয়া মৰ্ম্মাহত হইতেছি । নদীর অপর পারে ট্রামে যাইতে যাইতে কলিকাতার খিদিরপুর ও বেহালার রাস্ত মনে পড়িল । একদিকে প্ৰকাণ্ড প্ৰান্তর নানা শস্যপূৰ্ণ ।