পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YVR 夺西瓦R否引文 করিয়া, কবরের দ্বার বাহির করিয়া, পর্বত প্ৰাচীর খুন্দিয়া ফ্যারাওদিগের লুক্কায়িত ধনভাণ্ডাব লুণ্ঠন করিয়াছে।। দৈবক্ৰমে যেগুলি আজকাল আবিষ্কৃত হইতেছে তাহদের মধ্যে কোন কোনটিতে দস্যবৃত্তির চিহ্ন পাওয়া যায় ; কোন কোন কবর ঠিক প্ৰাচীন অবস্থায়ই इश्iिgछ । প্ৰাচীন মিশরের জনপদ, নরপতি, অট্টালিকা, দেবদেবী, মন্দির, মস্তাব ও কবর ইত্যাদি সম্বন্ধে একটা কথা বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয়। প্ৰত্যেক জিনিষেরই প্ৰায় তিনটা করিয়া নাম । একটা মিশরীয়, একটা গ্ৰীক এবং একটা আরবী । আমরা আজকাল গ্রীক নামেই এইগুলির পরিচয় পাইয়া আসিতেছি । গ্রীকে রা মিশরে রাজ্য প্ৰতিষ্ঠার পর প্রায় সকল বিষয়েই মিশরীয় আদর্শ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। প্ৰাচীন মিশরের ধৰ্ম্ম, কলা, শিল্প, সমাজ ও বিদ্যা, কোন বস্তুই গ্রীকের বর্জন করেন নাই । সকলই তঁাহারা গ্ৰীকসভ্যতার অঙ্গীভূত করিয়া লইয়াছিলেন । এই কারণে আলেকজাণ্ডারের পরবর্তী গ্রীকের মিশরীয় সভ্যতার সকলপ্ৰকার অনুষ্ঠান প্ৰতিষ্ঠানের নিকট বিশেষরূপেই ঋণী। কেবল তাহাই নহে-প্ৰাচীনতর গ্রীকেরাও মিশরের প্রভাব অগ্ৰাহ করিতে পারেন নাই। মিশরে ভ্ৰমণ করিবার জন্য প্ৰাচীন গ্রীসের কবি, দার্শনিক, ঐতিহাসিক, সকল শ্রেণীর লোকই আসিতেন। হেরোডোটাস হইতে প্লেটাে পৰ্য্যন্ত সকলেই মিশরীয় বিদ্যালয়সমূহে ধৰ্ম্ম, সাহিত্য, দর্শন ও অন্যান্য গুহাতত্ত্ব শিখিয়া গিয়াছিলেন । ফলতঃ অনেকদিক হইতে প্ৰাচীন গ্ৰীসকে প্ৰাচীন মিশরের সন্তানরূপে বর্ণনা করা যাইতে পারে। এইজন্য দেখিতে পাই-আজকালকার পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা মিশরের প্রত্নতত্ত্বের আলোচনায় এত উৎসাহী। প্ৰাচীন মিশরকে ইহঁরা “প্ৰাচ্য” বা ‘এসিয়াটিক’ বলেন না । বরং প্ৰাচীন ইউরোপীয়সভ্যতার পথপ্ৰদ