পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর- পীরামিডের সারি SVG নানাজাতীয় লোকের সঙ্গে এখানে দেখা হইল। পূর্বদিকে কাইরে-নগর দেখা যাইতেছে, শ্যামল শস্যক্ষেত্রের উপর দিয়া শীতলবায়ু আমাদের উপর প্ৰবাহিত হইতে লাগিল। মরুভূমির ভিতরে এরূপ ঠাণ্ড বাতাস প্ৰাকৃতিক নিয়মে পাইবার কোন সম্ভাবন। নাই । বিশ্রামস্থানে আতারাদি করিয়া আর-একটি। কবর দেখিতে বাহির হইলাম। এটা মানুষের কবর-পশুর নয় । তবে অন্যান্য কবর হইতে ইহার স্বাতন্ত্র্য আছে । ইহা কোন ফ্যারা ‘ওর সমাধিক্ষেত্র নয়। প্ৰাচীনমিশরের একজন প্ৰসিদ্ধ রাজকৰ্ম্মচারী ও ধনী ব্যক্তি এই কবরের মধ্যে শয়ান । এইরূপ কবরকে ‘মস্তাবা” বলে। সেই বিবান-উল-মূলকের রীতিতেই বালুকা-প্রোথিত পর্বত-কন্দরে এই কবর নিৰ্ম্মিত। কবরের নিৰ্ম্মাণ-প্ৰণালী, প্রাচীরগাত্রে চিত্রাঙ্কন, কবরের অভ্যন্তরস্থ গৃহ-সমাবেশ ইত্যাদি সমুদয়েই সেই লুক্সারের কায়দ। অনুসৃত দেখিলাম। তবে প্রদর্শক মহাশয় বলিলেন, “এই মস্তাবগুলি বিবান-উল-মুলকের রাজকবর অপেক্ষা বহুপ্ৰাচীন।” এই স্থানে দুইটি বড় বড় মস্তাব আছে ; একটিতে ‘তি’র, অপর টিতে ‘মেরা’র মাৰ্ম্মি লুকায়িত ছিল । আমরা মেরার মস্তাবায় প্ৰবেশ করিলাম। প্ৰাচীন মিশরের কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়, বাণিজ্য, সবই আমরা প্ৰাচীরগাত্ৰে চিত্ৰিত বা খোদিত দেখিতে পাইলাম। ভারতের জলবাহকেরা যেরূপ স্কন্ধে বাকি রাখিয়া সম্মুখে ও পশ্চাতে জলের কলসী বহিয়া থাকে, প্ৰাচীন মিশরেও সেই নিয়মে ভার বহনের চিত্ৰ দেখিলাম। একস্থানে দেখা গেল পশুচিকিৎসালয়ের চিত্র, আর একস্থানে নৰ্ত্তকীদিগের অঙ্গভঙ্গী। কোথাও মেরা পদ্মফুল শুকিতেছেন, কোথাও বা নরনারীগণ পূজার উপহার মাথায় লইয়া আসিতেছে। মস্তাবা দেখিয়া পুনরায় গর্দভপৃষ্ঠে যাত্ৰা করিলাম। প্ৰায় দুই