পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN य3भन ख१९ ঘণ্টা চলিয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে পৌছিলাম। পথে দুইতিনটা পল্লী দেখিতে পাওয়া গেল। শান্তিপূর্ণ লোকাবাস, মুদীখানা, দোকান ইত্যাদি সবাতাতেই ভারতীয় পল্লীর সাদৃশ্য রহিয়াছে। ফেল্লা ও ফেল্লাপত্নীরা মাঠে চাষ করিতেছে। শসা, কুমড়া, কড়াই শুটি, গম, তুলা, ইক্ষু ইত্যাদি নানাবিধ শস্যের আবাদ দেখিতে পাইলাম। পারস্যচক্রের সাহায্যে ক্ষেতে জলসেচন করা হইতেছে। ছোট ছোট কোদাল ও উষ্ট্রবাহিত লাঙ্গলের সাহায্যে মাটি কাটা হইতেছে। প্ৰায় সকল পথেই নাইলখালের নানা শাখা প্ৰশাখা বিস্তৃত । জলের অভাব কোথাও লক্ষ্য করিলাম না । সর্বত্রই কৃষ্ণমৃত্তিকা দেখিতে পাইলাম । এইপথে আসিতে প্ৰাচীন মেমফিসনগরের পুরাতন স্থান অতিক্রম করিলাম। এক জায়গায় রামসেস সম্রাটের বিশাল প্ৰতিমূৰ্ত্তি পড়িয়া রহিয়াছে। এই প্ৰতিমূৰ্ত্তির পশ্চাদ্ভাগে তঁাহার পত্নীর চিত্ৰ খোদিত । এইরূপ যুগলমূৰ্ত্তি লুক্সারের য়্যামন-মন্দিরে পূর্বে কয়েকটা দেখিয়াছি। রামসেসের মূৰ্ত্তি মেমফিসের দেবতা বৃষবাহন “তা”-দেবের মন্দিরসম্মুখে অবস্থিত ছিল। সেই মন্দিরের কোন অংশই বৰ্ত্তমান নাই। মাটি খুড়িয়া পাথর বাহির করা হইতেছে দেখিলাম। মিশরের স্থাপত্য, অট্টালিকা এবং চিত্রাঙ্কণ দেখিয়া ভারতবর্ষের বিবিধ শিল্পকলার সঙ্গে তুলনা করিতে এখনও কোন সুধী প্ৰবৃত্ত হন নাই। ইংরাজ অধ্যাপক পেটি, এবং ফরাসী অধ্যাপক ম্যাম্পেরো প্ৰভৃতি পণ্ডিতগণ ভারতবর্ষের সঙ্গে মিশরের শিল্পকলার তুলনা করিতে যত্নবান হন নাই। প্ৰধানতঃ গ্ৰীক এবং গৌণতঃ ব্যাবিলনীয় শিল্পকলার সঙ্গে মিশরীয় শিল্পকলার তারতম্য নির্ণীত হইতেছে মাত্র। ভারতবাসীর এদিকে দৃষ্টিপাত করা কীৰ্ত্তব্য। প্ৰথমতঃ মিশরের সঙ্গে ভারতের সংযোগ ছিল কি না তাহার