পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-পীরামিডের সারি SN2 বিচার করা আবশ্যক। দ্বিতীয়তঃ মিশরের শিল্পকলাই জগতের আদি শিল্পকলা কি না ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা এখন আর তাহা সন্দেহ করিতেছেন না । ভারতীয় শিল্পকলা যে মিশরীয় শিল্পকলারই পৌত্র বা প্ৰপৌত্র মাত্র পাশ্চাত্য সুধীবর্গ তাহা একপ্রকার সিদ্ধান্ত করিয়া ফেলিতেছেন। এই সিদ্ধান্তেরও পুনরায় আলোচনা হওয়া আবশ্যক, সুতরাং ঐতিহাসিক হিসাৰে মিশরীয় ও ভারতীয় শিল্পের তুলনা-সাধন সৰ্ব্বাগ্ৰে কৰ্ত্তব্য। পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হন নাই । ভারতের স্বদেশী প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এ দিকে দৃষ্টি না দিলে বিষয়টা যথোচিত আলোচিত ଅ5C< କମ୍ । এতদ্ব্যতীত, শিল্প এবং কারুকাৰ্য্য হিসাবেও মিশরীয় ও ভারতীয় গৃহনিৰ্ম্মাণ, মূৰ্ত্তিীগঠন এবং চিত্রাঙ্কণের তুলনা সাধিত হওয়া আবশ্যক। উভয়শিল্পের অন্তনিহিত “প্রেরণা” নির্ণয় করা কীৰ্ত্তব্য। সৌন্দৰ্য্য ও সুকুমার কলার দিক হইতে উভয় জাতির উৎকর্ষ নিৰ্দ্ধারিত হওয়া উচিত । যতটা লক্ষ্য করিয়াছি তাহাতে মনে হয়, বিশালতা, বিপুলতা, উচ্চতা ইত্যাদি পরিমাপের গভীৰ্য্য ও গুরুত্ব মিশরীয় বাস্তু, মূৰ্ত্তি ও চিত্রের প্রধান লক্ষণ। ভারতীয় শিল্পেও দৃঢ়তা, বিপুলতা এবং গাম্ভীৰ্য্য যথেষ্ট আছে। তবে মিশরীয় শিল্পে এগুলি যে-পরিমাণে দেখিতে পাই, ভারতীয় শিল্পে বোধ হয় সে পরিমাণে পাই না । দ্বিতীয়তঃ, মন্দিরের গৃহসন্নিবেশ এবং বিভিন্ন অংশের সম্বন্ধ অনেকটা হিন্দুদেবালয়ের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। “পাইলেন” আমাদের তোরণদ্বার বা গোপুরমের অনুরূপ। তারপর স্তম্ভবিশিষ্ট জগমোহন, ভোগমন্দির, দেবতার স্থান, পুরোহিত-গৃহ ইত্যাদির অনুরূপ সকল অঙ্গই মিশরীয় মন্দিরে লক্ষ্য করিয়াছি অবশ্য গঠনকৌশল এবং গঠনের উদ্দেশ্য সর্বাংশে একরূপ নয়।