পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ দিবস—মিশর-তত্ত্ব প্ৰাচীন মিশরের নানা কেন্দ্ৰ দেখা হইয়া গেল । এইবার পুরাতন বস্তুসমূহের সংগ্ৰহালয় বা মিউজিয়াম দেখিতে গেলাম। মিউজিয়াম দেখিবার পূর্বে বিভিন্ন স্থান স্বচক্ষে দেখা থাকিলে প্ৰাচীন সমাজ বুঝিতে যথেষ্ট সাহায্য হয়। মিউজিয়াম-গৃহে বসিয়া, প্ৰত্যেক বস্তুব স্বতন্ত্রও বিস্তৃত আলোচনা করা চলিতে পারে। কিন্তু যথাস্থানে ধ্বংস রাশির মধ্যে ভগ্নস্তােপ বা ভগ্নমন্দির এবং মূৰ্ত্তির বিচ্ছিন্ন অংশ অথবা প্রাচীরগাত্র এবং নষ্ট প্রায় চিত্র না দেখিলে পুরাতন জীবনযাপনপ্রণালী, পুরাতন ধৰ্ম্মপ্ৰথা, পুরাতন সমাজের মূৰ্ত্তি সম্যক হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। প্ৰথমেই এইগুলির ভিন্ন ভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্নভাবে দেখিয়া রাখিলে প্ৰাচীন জনগণের আদর্শ ও চিন্তাপদ্ধতি খানিকটা আয়ত্ত করিয়া ফেলা যায় । তাহার পর মিউজিয়ামে আসিলে শৃঙ্খলাবদ্ধরূপে সকল বিষয়ের সামঞ্জস্য, পরে। কাৰ্য্য এবং যথার্থ মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করা সহজসাধ্য হয় । কাইরোনগরে দুইটি মিউজিয়াম । একটি প্রাচীন-মিশরতত্ত্ব-বিষয়ক । অপরটি মধ্যযুগের মিশরতত্ত্ব-বিষয়ক । প্রথমটিতে মুসলমানবিজয়ের পূর্ব পৰ্য্যন্ত মিশরের সকল বস্তু সংগৃহীত হইয়াছে। দ্বিতীয়টিতে খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দী হইতে আধুনিক কাল পৰ্য্যন্ত মুসলমানী শিল্প ও কলার নানা নিদর্শন সংগৃহীত হইয়াছে। দুইটি মিউজিয়ামই ক্ৰমশঃ বাড়িয়া চলিয়াছে ৭ প্ৰাচীন মিশ্রীরতত্ত্ব-বিষয়ক মিউজিয়ামে একজন মুসলমান প্ৰত্নতত্ত্ববিদের সঙ্গে অঙ্গলাপ হইল। ইনি এখানকার অন্যতম কিউরেটর বা পরিচালক । huk --