পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-নব্য মিশর 5 গ্ৰহণ করেন। ভারতীয় মধ্যযুগ বা মুসলমান প্ৰভাবের কাল সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত লেন পুল গ্রন্থ লিখিয়া প্ৰসিদ্ধ হইয়াছেন । ইনিও এই মসজিদবিদ্যালয়েরই ছাত্ৰ । আজ মিশরীয় মুসলমান-সমাজের এক নূতন উদ্যম ও কৃতিত্বের পরিচয় পাইলাম। এতদিন মিশরে সুকুমার শিল্প ও চিত্ৰকলা শিখাইবার কোন ব্যবস্থা ছিল না । মুসলমানদিগের প্রতিভা এই বিভাগে আন্দেী আছে কি না তাহাই অনেকে সন্দেহ করিতেন । প্ৰায় সৗদ্ধ বৎসৰূ / হইল মিশরের একজন বিদ্যান্য ধনী-কুমার ইউসুফ কামাল পাশা ফরাসী) বন্ধুগণের পরামর্শে কাইরো নগরে এক সুকুমার কলা-বিদ্যালয় প্রবর্তন করিয়াছেন। এই বিদ্যালয়ের সমস্ত ব্যয় কুমার স্বয়ং বহন করিয়া আসিতেছেন । বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা এক্ষণে প্ৰায় ১৫০ । ইহাদের অনেকেই দরিদ্র ও নিরক্ষার । কতিপয় ছাত্র বিনাবেতনে শিক্ষা পাইতেছে । এই বিদ্যালয় দেখিতে গেলাম । সহরের সাধারণ মহাল্লায় এক মামুলি গৃহে বিদ্যালয় অবস্থিত। সকল ঘরে সমান ভাবে আলোক প্ৰবেশ করিতে পায় না । জাকজমকপূর্ণ কাইরো নগরে এই বিদ্যালয় অতি দীনহীন মলিন ভাবে জীবন যাপন করিতেছে। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম। এই নগণ্য বহিরাকৃতির অভ্যন্তরে যথার্থ প্ৰাণ বিরাজ করিতেছে । বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ একজন ফরাসী চিত্রকর। ইনি পূর্বে সিংহল, শ্যাম, চীন প্রভৃতি দেশে ফরাসী গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারী ছিলেন। অধ্যক্ষ মহাশয় ছাত্ৰগণের হাতের কাজ भूद डाल o দেখাইলেন। প্ৰথম ছয় মাসের ভিতরই ছাত্রেরা কত উৎকর্ষ লাষ্টি করিতে পারে বিদ্যালয়ের প্রদর্শনী-গৃহে যাইয়া তাহার এন্ট্ৰ'-গ্ৰস্পষ্ট ধারণা করিয়া লইলাম । ইনি প্ৰত্যেক চিত্র, মৃত্তিকামুৰ্ত্তি,