পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-যুবক মিশরের স্বাদেশিকতা 여 মিশরীয় নবীন ও প্ৰবীণ বন্ধুগণ দেখা করিতে আসিলেন। মিশরীয়েরা হিন্দুস্থানের প্রতি অনুরক্ত হইয়াছেন ভাবিয়া পুলকিত হইলাম । আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইয়া বিদায় গ্ৰহণ করা গেল । গাড়ী ছাড়িয়া দিল । মনে মনে মিশরের ভূত, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান চিন্তা করিতে করিতে ব-দ্বীপের পশ্চিম প্ৰান্তস্থিত। শস্যক্ষেত্র ও পল্লীগৃহ দেখিতে লাগিলাম । কাইরে হইতে আলেকজান্দ্ৰিয়া পৰ্য্যন্ত রেলপথ ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে খোলা হয় । সৈয়দপাশা তখন মিশরেরর খেদিভ ছিলেন । ইহা সময়-হিসাবে জগতের দ্বিতীয় রেলপথ । সর্বপ্ৰথম রেলপথ বিলাতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । কাইরো ছাড়িয়া মোকাওম ও লীবিয়া পর্বতমালাদ্বয় আর দেখিতে পাইলাম না। পোর্টসৈয়দ হইতে কাইরো পৰ্য্যন্ত পথে যে সকল দৃশ্য চোখে পড়িয়াছিল ব-দ্বীপের এই পশ্চিম বাহুতে ঠিক সেইরূপ দৃশ্য দেখিতে পাইলাম না। কারণ এ অঞ্চলে মরুভূমি নাই-কিন্তু পোটসৈয়দের পথে কিয়দংশে ধুলাবালুব প্রভাব অত্যধিক । আলেকজান্দ্ৰিয়ার পথে মিশরের সাধারণ উর্বর ভূমিই দৃষ্টিগোচর হইল। মধ্যে মধ্যে ক্ষুদ্র বৃহৎ পল্লী এবং সাগর দেখা গেল। নাইলের খাল এবং কৃষ্ণ মৃত্তিকাময় শস্যক্ষেত্রও এই অঞ্চলের সর্বত্রই বিদ্যমান। ক্ৰমশঃ বন্দরের নিকটবৰ্ত্তী হইতে লাগিলাম। দূর হইতে সমুদ্রের উপরিস্থিত নীল উন্মুক্ত আকাশ দেখিতে পাইলাম। তখনও সমুদ্র দেখা গেল না। চারিদিকে বড় বড় খেজুৱগাছ এবং আখের খেত। ভূমিও যেন কিছু বেশী উর্বর। ষ্টেসনে আসিয়া পৌছিলাম। বন্দর কাইরো নগরেরই অনুরূপ। পাের্টসৈয়দ অপেক্ষ। বৃহত্তর সহর। ভূমধ্যসাগরের কুলে একটা ফরাসী হোটেলে আডিড লইলাম । গৃহ হইতে দেখা যায় যেন নীল সমুদ্র গর্জন করিতে করিতে কুলাবাসীকে কামড়াইতে আসিতেছে।