পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ দিবস-আলেকজাণ্ডার \७ काङ्काल डाकिन মহম্মদ আলির আলেকজান্দ্ৰিয়া দেখিলাম। একশত বৎসর পূর্বে এখানে একটা প্ৰাচীন জনপদের ধ্বংসাবশেষ মাত্ৰ বৰ্ত্তমান ছিল । মহম্মদ আলির উদ্যোগে এই স্থানে এক অতি চমৎকার নগর ও বন্দর গড়িয়া উঠিয়াছে। মুসলমানের সপ্তম শতাব্দীতে মিশর দখল করেন। তখনও আলোকজান্দ্ৰিয়া নগরীর প্রাচীন সমৃদ্ধি কথঞ্চিৎ ছিল। কিন্তু নূতন বিজেতারা সমুদ্রকুলের বাণিজ্যকেন্দ্ৰ পরিত্যাগ করিয়া কাইরোতে রাজধানী স্থাপন করিলেন । এই সময় হইতে আলেকজান্দ্ৰিয়া ধ্বংসের পথে অগ্রসর হয় । পরে উনবিংশশতাব্দীর প্রথম ভাগে মহম্মদ আলি ইহার প্রাচীন ঐশ্বৰ্য্য ও প্ৰাধান্য পুনরায় ফিরাইতে চেষ্টিত হইয়াছিলেন। আজ বাস্তবিকই আলোকজান্দ্ৰিয়া পৃথিবীর অন্যতম ব্যবসায়-কেন্দ্র এবং ধনসম্পদের নিকেতন । আলেকজাণ্ডার-প্রতিষ্ঠিত নগরীর চিতাভষ্মের পার্থেই আধুনিক মিশরের এই বন্দর প্রতিষ্ঠিত। প্রাচীন গ্ৰীক সাম্রাজ্যের এই রাষ্ট্র-কেন্দ্র সমাজ-জীবন, বিদ্যাচর্চা এবং ব্যবসায়ের আধার ছিল। দিগ্বিজয়ী বীরপুরুষ প্ৰাচ্য-ও-প্রতীচ্য-সম্মিলনের উপায়ম্বরূপই এই নগরের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। “এশিয়া ইউরোপ ও আফ্রিকার জনগণের ভাববিনিময় ও কৰ্ম্মবিনিময়ের উদ্দেশ্যেই আলেকজান্দ্ৰিয়ার সর্বপ্রথম ভিত্তি গঠিত হইয়াছিল।