পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR বৰ্ত্তমান জগৎ এক সঙ্গে এক টেবিলে বসিয়া ৪০ ॥৫০ জন চরিবেলা আহার করিতেছেন । কিন্তু বন্ধুত্ব, প্ৰীতি, ভাব-বিনিময় ত বিশেষ বাড়িতেছে বলিয়া বোধ হয় না । যাহার সঙ্গে র্যাহার আলাপ তাহারাই কাছাকাছি বসেন, এবং তঁাহারাই একসঙ্গে উঠিয়া যান। একত্ৰ খানা খাইলেই কি ঐক্য, মিলন ও সহানুভূতির বিকাশ হয় ? পাশ্চাত্য আরোহীদের হাতে পুস্তকাদি দেখিতে পাই । কেহই জাহাজে উচ্চ অঙ্গের গ্রন্থাদি পাঠ করেন না । ইহার চোথা নাটক, উপন্যাস, গল্পের বই, ভ্ৰমণ-কাহিনী ইত্যাদি সঙ্গে লইয়া ডেকের উপর বসেন । উচ্চ সাহিত্যে ইহঁদের স্বাভাবিক প্রীতি আছে কি না সন্দেহ । অবশ্য এইটুকু দেখিয়াই একটা জাতি সম্বন্ধে মত প্ৰকাশ করা চলে না । আমাদের পাদ্রী অধ্যাপক মহাশয়েব এবিষয়ে বিশেষত্ব লক্ষ্য করিতেছি । তিনি সাধারণ পাশ্চাত্যের ন্যায় হালকা সাহিত্যের সাহায্যে সময় কাটাইতে চেষ্টা করেন না । ইনি স্বয়ং একজন সুকবি ও লেখক । ইহঁর সঙ্গে উচ্চ সাহিত্যের গ্রন্থ রচিয়াছে। কিন্তু এই প্ৰকার লোক সমস্ত পাশ্চাত্য আরোহীদিগের মধ্যে আর একজন ও নাই । খাওয়া দাওয়া, বেড়ান, গল্প করা, নিম্নশ্রেণীর পুস্তকাদি পাঠ করে। এবং ছবি দেখা ছাড়া ইহঁরা আর কিছু জানেন না । এতগুলি লোকের মধ্যে একজন ও সুগায়ক দেখিতে পাইলাম না । চিত্রকর • বা অন্য কোন শিল্পে সুদক্ষ ব্যক্তিও বোধ হয় কেহ নাই । একজন ইংরাজের সঙ্গে আলাপ হইল । ইনি হিন্দুর স্মৃতিশাস্ত্ৰ ইত্যাদি আলোচনা করিতেছেন। ইহঁর সঙ্গে কয়েকখানা হিন্দু আইন বিষয়ক গ্ৰন্থ রহিয়াছে । পাঞ্জাব প্রদেশ হইতে আসিতেছেন-ইনি সে অঞ্চলের এক জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট । ইনি রবি বাবুর নাম শুনিয়াছেন-গ্ৰন্থ এখনও দেখেন নাই । ইনি বলিলেন, “একটা সমালোচনা পড়িয়াছি । তাহাতে বলা হইয়াছে যে, রবি বাবু বড় বেশী গ্ৰন্থ প্ৰকাশ করিয়া