পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশরের পথে-এডেন R v. ফেলিয়াছেন।” অল্পকালের মধ্যে একাধিক গ্ৰন্থ প্ৰকাশ পাশ্চাত্য সাহিত্য-সংসারের রীতি নয় বুঝিতেছি । তঁহাদের মতে, ইহাতে লেখকের মূল্য কমিয়া যায়। আমাদের পাদ্রী বন্ধুটিও রবি বাবু সম্বন্ধে কয়েকবার এই কথাই বলিয়াছেন। বন্দরে পৌছিবার প্রায় তিন ঘণ্টা পূর্ব হইতেই এডেনের পাহাড় দেখা যায়। এই পথটুকুর মধ্যে বাতাস উত্তর হইতে” দক্ষিণ দিকে . বহিতে লাগিল। ক্রমশঃ আমরা পাহাড়ের নিকট আসিয়া পৌছিলাম । পাহাড়ের এক অংশ ঘুরিয়া অপর অংশের ভিতরকার সমুদে জাহাজ প্ৰবেশ করিল । এই স্থানটাই পোতাশ্রয় বা ‘হাবার’ । তাবারে প্রবেশ করিবার আগেই সমুদ্রের জল সবুজ বর্ণ দেখিতে পাইলাম। এতদিন নীল রংএর খেলা দেখিয়াছি । আজ ঘণ্টা দু এক ধরিয়া অপেক্ষাকৃত অগভীর জলের সবুজ রং দেখিতে লাগিলাম। সমুদ্র যতই ভূমির নিকট অগ্রসর হয় ততই ইহার বর্ণ সবুজ ঘাসের মত দেখায় । পোতাশ্রয়ের ভিতরে নানা স্থানে ঘোলা কর্দমাক্ত জলের পাক দেখিতে পাইলাম, এবং সর্বত্র সাধারণ নদীর জলের রংই পরিস্ফুট। এডেন বন্দর একটা পাহাড়ের উপর অবস্থিত। এই পাহাড় সমুদ্র হইতে খাড়া উঠিয়াছে। পাহাড়ের কোন অংশে একটি তৃণ পৰ্য্যন্ত জন্মিতে পায় না। ছাই রংএর কয়লার স্তপের মত জমাট বাধিয়া আরবদেশের মরুভূমি সমুদ্রকুলে মাথা তুলিয়াছে। পাহাড়ের গায়ে একমুষ্টি সাধারণ মৃত্তিকা বা ধূলিও নাই-সমস্তই পাথর। পূর্বে বোধ হয় এটা আগ্নেয়-পর্বত ছিল । এই পাহাড়ের নিম্নভাগ কাটিয়া সমুদ্রের কিয়দংশ শুকাইয়া ফেলা হইয়াছে। এই উপায়ে যে সমতল ভূমি প্ৰস্তুত হইয়াছে তাহার উপর * পাশ্চাত্য ফ্যাশনের হোটেল, দোকান, ইত্যাদি নিৰ্ম্মিত। বাড়ীম্বরগুলি