পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশরের পথে- এডেন R o গুলি আরব মরুভূমির স্বাভাবিক উদ্ভিদ। দূর হইতে অ্যান &। এখানে লাগান হইয়াছে-চিনিতে পারিলাম না। এইরূপ গাছ দুই একটা কুপের নিকটেও দেখিলাম । কোন কোন হোটেলের সম্মুখেও ছোট খাটি একটা বাগান আছে । কিন্তু বুক্ষের শীতল ছায়া এডেনের কোথাও 'i 9भ्रl 2भू ब्ा } ع জানোয়ার ও বেশী দেখিলাম না। সমুদ্রে কতক গুলি ভাসিয়া উডিয়া বেড়ায় । বন্দরে ঘোড়া ও উটই প্ৰধান বাহন । একজায়গায় একটা গো শালা দেখিলাম । তাহাতে প্ৰায় ৫০ । ৬০ টা গাডী ছিল । এগুলি আরবদেশীয় । দেখিয়া বেশ হৃষ্টপুষ্ট বোধ হইল । ক্লাত্ৰিম সরোবর গুলি আজিকালিকার তৈয়ারী নয়-বহু প্ৰাচীন । এষ্ট সমুদয় মুসলমানী-যুগের কৃতিত্বের সাক্ষী । পাহাড়টা বা ভিতরে ভিতরে অনেক জলপথ আছে—সকল পথই দৈবক্রমে পাহাডের একস্থানে আসিয়া মিলিয়াছে । ফলতঃ সামান্য বৃষ্টি হইলেই অথবা কোন উপায়ে পাহাড়ের ভ। তাঁর জল সঞ্চার হইলেই জলের স্রোত সেই এক কোণে প্ৰধাবিত হয় । সুতরাং সমস্ত পাহাড়ের জল একজায়গায় জমিতে পায় । এই তথ্য আরবের লক্ষ্য করিয়াছিলেন—তাহা বুঝিয়াই তাহাবা কৃত্ৰিম সরোবর গুলি তৈয়ারী করিয়াছিলেন। মধ্যে এগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হইয়া গিয়াছিল । ধূলিরাশির চাপে ইহাদের অস্তিত্ব লোপ পাইয়াছিল। উৎ রাজের। ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে এগুলির সংস্কার সাধন করিয়াছেন । পুরাকীৰ্ত্তির উদ্ধার সাধিত হইয়াছে। প্রাচীন মুসলমানেরা এডেনে জল আনিবার জন্য অন্য ব্যবস্থাও করিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইয়ামানের রাজা মালিক মােন্সর দুব হইতে নলে করিয়া জল আনিবার আয়োজন করিয়াছিলেন। ইতালীতেও রোমীয়েরা এই প্ৰণালী অবলম্বন করিত। অবস্থা অনুভূমিত্ত্বে