পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোহিতসাগর রাত্ৰিকালে লোহিত সাগরের মধ্যে জাহাজ প্ৰবেশ করিয়াছে । সুতরাং বাবেলমাণ্ডেল প্ৰণালী দেখিতে পাইলাম না । সকালে উঠিয়া দেখি-আকাশে কুয়াশা, আমার বামদিকে আফ্রিকার পর্বতশ্রেণী । আমার কামরা জাহাজের বামভাগে । এজন্য ভারতমহাসাগরে দক্ষিণ হাওয়া পাইতেছিলাম। এক্ষণে আফ্রিকার দিকে আমার কামরা পড়িয়াছে। সৌভাগ্যক্রমে আজ উত্তরদিক হইতে বাতাস বাহিতেছে -এজন্য গরম তত বেশী নয় । দক্ষিণ বাতাস বহিলে গরম লাগিত-অথবা পূর্বে পশ্চিমে বায়ুব গতি থাকিলেও অসহ বোধ হইত। লোহিত সাগরের সকল ভাগ হইতেই পূর্ব ও পশ্চিম কিনারা দেখা BB Dt SS S S eDD BDBYD KKKB uDDJSz KDBDBBE DS SBB BDD S দেখিতেছি জল নীলও নয়, সবুজও নয়। ইহার রং প্ৰধানত: কালি-মেটে, ধূসর । বোধ হয় আকাশের কুয়াশা ও মেঘের প্রভাবে বর্ণ এইরূপ। সাগরাদির নামকরণ কি নিয়মে হয় ? কৃষ্ণসাগর, পীতসাগর, শ্বেতসাগর, লোহিতসাগর-এই চারিটিা সাগরের নামের সঙ্গে প্ৰাকৃতিক বণের কোন সম্বন্ধ আছে কি ? জলের রং অনুসারেই যে সর্ববত্ৰ সাগরের নাম হইয়াছে, এরূপ বোধ হয় না। পার্শ্ববৰ্ত্তী ভূমি, পৰ্ব্বত, মুত্তিকা ইত্যাদি অথবা সমীপস্থ কোন বিশেষ প্ৰাকৃতিক লক্ষণ দেখিয়া হয় ত স্থানীয় লোকের নাম দিয়া থাকে। উত্তর ইউরোপের তুষারাবৃত অঞ্চলে সমুদ্রকে “শ্বেত' নাম দেওয়া অস্বাভাবিক নয় । সেইরূপ রুশিয়ার দক্ষিণ