পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 दéभन्म ७2३ মেটে । তাহার পশ্চাতে এই রংয়েরই উচ্চতর পর্বত । এক পর্যদা ঈষৎ কৃষ্ণমেঘ এই পাহাড়শ্রেণীর শৃঙ্গ ঢাকিয়া রাখিয়াছে । কিছুকালের মধ্যে সূৰ্য্যোদয় আরব্ধ হইল । মেঘের পশ্চাতে পর্বতের পশ্চাতে অরুণ তপনের লাল গরিমা সমস্ত পূর্বকাশকে উদ্ভাসিত করিল। যখন মেঘ छाड़ो९s সুৰ্য্যদেব দেখা দিলেন, সমস্ত পাহাড় সুবৰ্ণমণ্ডিত বোধ হইলএমন কি স্বৰ্ণ-গঠিতই মনে হইতে লাগিল। সমুদ্র জলে সূৰ্য্যকিরণ পড়িয়া গলান সোণার রং সৃষ্টি করিল। আমাদের সমগ্র পূর্বদিকই সোনালি, সুবৰ্ণরচিত, স্বর্ণময় হ্রদের দৃশ্য ধারণ করিল। পূৰ্ব্বভাগের পর্বতশ্রেণীও জনপ্রাণীশূন্য, তরুশূন্য, তৃণশূন্য । দুই কিনারার ভিতর দিয়া যাইতে যাইতে মনে হইতেছে, আমরা একটা ক্ষুদ্র নদীর উপরে ভাসিতেছি। সত্য সত্যই এই উপসাগর সাধারণ নদী অপেক্ষা বিস্তুত নয়। আকাশ ক্রমশঃ পরিষ্কার হইল । পরে দেখলাম-ঈষৎ ধূসর, ঈষৎ কৃষ্ণ মেটে রংএর পর্বতমালাও সত্য সত্যই নিকটবৰ্ত্তী উপত্যকা ও উচ্চভূমির ন্যায় রক্তবর্ণ, গিরিমাটির মত লাল আভাযুক্ত । বাঙ্গালী পণ্ডিতপ্ৰাবরকে ওলন্দাজ চিত্রকারের সঙ্গে আলাপ করিয়া দিলাম। চিত্রকারের পেন্সিল স্কেচগুলি দেখিয়া পণ্ডিত প্ৰবর বলিলেন, “আমি ভারতীয় দৃশ্য সম্বন্ধে অন্যান্য ইউরোপীয় শিল্পীর পেন্সিল স্কেচুও দেখিয়াছি। সেগুলি অপেক্ষা এই সমুদয় উচ্চ শ্রেণীর কারুকাৰ্য্য মনে হইতেছে।” ভারতবর্ষের প্রাচীন স্থাপত্য সম্বন্ধে এই চিত্রকারের সঙ্গে গল্প করা গেল। ইহঁর মতে, গ্রীক রচনার সঙ্গে তুলনায় মাদুরা, তাঞ্জোর ইত্যাদি স্থানের শিল্পকৰ্ম্ম নিন্দনীয় নয়। অনেকগুলি সমান-অবশ্য অক্লোন কোনটা নিকৃষ্ট শ্রেণীর অন্তর্গত। প্ৰাচীন মিশরের ভাস্কৰ্য্য