পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশরের পথে-নব্যবঙ্গের দার্শনিকপ্ৰবর CS কিছুদিন পূর্বে বিলাতের প্রসিদ্ধ দার্শনিক কার্ভেথৱীড একজন প্ৰসিদ্ধ বাঙ্গালীর নিকট বলিয়াছিলেন “আমি মিলের ছাত্র । হাৰ্বাট স্পেন্সারকেও দেখিয়াছি । তাহা ছাড়া আরও অনেক বড় বড় পণ্ডিতের ংশ্ৰবেও আসিয়াছি। কিন্তু এই বাঙ্গালী পণ্ডিতের প্রগাঢ় বিদ্যাবত্তা ও সর্বমুখিনী চিন্তাশক্তি দেখিয়া বিস্মিত হুইতেছি।” আর একজন গ্রীকদর্শনে পারদর্শী পণ্ডিতও প্ৰায় ১৫ বৎসর পূর্বে বলিয়াছিলেন“আপনি খৃষ্ট ধৰ্ম্মতত্ত্বের মৌলিক কথা যে ভাবে আলোচনা করিয়াছেন তাহা ইউরোপীয় কোন পণ্ডিতই পারেন। কি না সন্দেহ ।” আমার বিশ্বাস, পাশ্চাত্য মহলে ভারতবাসী হিন্দুর পাণ্ডিত্য, ভূয়োদর্শন, জ্ঞানের ব্যাপকতা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাশক্তি দেখাইবার সময় আসিয়াছে ; প্রাচীন হিন্দু সাহিত্য দর্শণ ধৰ্ম্ম ইত্যাদি বিষয়ে পাশ্চাত্যের শোপেন হোভারের যুগ হইতে অনেক কথাই শুনিয়াছেন । বিবেকানন্দের প্রচার-কাৰ্য্যেও এদিকে অনেকটা কাজ হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের দিবিজয়ে একটা নূতন দিক হইতে আধুনিক ভারতের উপর বিশ্বের দৃষ্টি পড়িয়াছে। জগদীশচন্দ্রের বিজ্ঞান সেবায়ও ভারতবর্ষ জগতে প্ৰসিদ্ধ হইতেছে। আমাদের এই বাঙ্গালী পণ্ডিতের ন্যায় মনস্বী ব্যক্তি ইউরোপের বিভিন্ন চিন্তাকেন্দ্ৰে বক্তৃতা বা কথোপকথন করিবার সুযোগ পাইলে আর একটা অভিনবভাবে ভারতবর্ষের সমাজ বিশ্বাসীরাশ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে পারিাবে। ভারতবর্ষের চিন্তাধারা সমগ্র জগৎকে প্লাবিত করিতে অগ্রসর হইবে। প্ৰাচীন ভারতের প্রতি জগতের যে ভক্তি আছে তাহা লইয়া বাড়াই করিবার আর প্রয়োজন নাই। বৰ্ত্তমান ভারতেরও অনেক গৌরবকাহিনী আছে-সেগুলি জগতে প্রচারিত হওয়া আবশ্যক। পৃথিবীর লোককে বুঝান উচিত।--আমাদের জানাবিজ্ঞান সভ্যতা সাহিত্য প্ৰাচীন পশু মধ্য যুগেই শেষ হইয়া যায় নাই। ভারতের জীবনীশক্তি এখনও কাৰ্য্য।