পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दखैभन्म छ2|९ উদ্ভিদের শ্রেণী—তাহার পর যতদূর চোখ যায় কেবল মরুভূমি। উদ্ভিদরাশির মধ্য দিয়া রেলপথ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ডাহিনদিকে গাছ লাগাইবার প্রয়াস দেখিলাম না। খালের ধার অবশ্য বঁাধান-খানিকটা কাল মাটিতে পরিপূর্ণ বোধ হইতেছে। তারপর অনন্ত বালুকা-সমুদ্র । এক্ষণে বায়ু পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিমে বহিতেছে। সমস্ত রাত্ৰি मेंड हिल । পোটসৈয়দ দেখা যাইতেছে । আর ৬ মাইল পরে আমরা কবরের দেশে পদাৰ্পণ করিব। ভূমধ্যসাগরের জল জোয়ারের সময় আমাদের দুইদিকের মরুভূমিতে আসিয়া থাকে। তাই বহুদূর পর্য্যন্ত পূর্বে ও পশ্চিমে বালুকার উপর জল সঞ্চিত দেখিতে পাইতেছি। বিশেষতঃ পশ্চিমদিকে একটা হ্রদ আছে--সেই হ্রদেরই পূর্ব কোণে পোটসৈয়দ । এই ১০০ মাইল পথের মধ্যে দুই তিন স্থানে হ্রদ। পার হইতে হইয়াছো-কিন্তু রাত্ৰিকালে সেগুলি দেখিতে পাই নাই । এডেনে প্ৰাচীন আরবদিগের কৃত্ৰিম সরোবর দেখিয়াছি । সুয়েজে দেখিলাম--আধুনিক মুসলমানজাতি ও ইউরোপের অধ্যবসায় এবং শিল্পজ্ঞানের সুফল । কিন্তু সুয়েজে খাল নিৰ্ম্মাণের প্রয়াস। উনবিংশ শতাব্দীর বহু পূর্বেই দেখা গিয়াছিল। সে আজ অনেক দিনের কথা । তখনও কোন আধুনিক জাতির জন্ম হয় নাই-তখনও দিগ্বিজয়ী আলেকজাণ্ডার ভবিতব্যের গর্ভে লুক্কায়িত । তখনও গ্ৰীক সাম্রাজ্য ও রোমীয় সাম্রাজ্যের কল্পনা পৰ্য্যন্ত মানবহৃদয়ে উপস্থিত হয় নাই । তখন বাবিলন, ভারতবর্ষ ইত্যাদি স্থানে মানবজাতির বসবাস এবং উৎকৰ্য সাধিত হইতেছিল।