পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दह्रैभन्म स्2९ "לפא "ধনধান্য-পুষ্পে-ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা ।” অবশ্য মিশর যে “স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।” সে বিষয়ে ত কোন সন্দেহই নাই । গাড়ী জাগাজিগ। ষ্টেসনে আসিল । ইহাই এই পথে সর্বপ্রধান নগর। ইহা বড় বড় কারবারের কেন্দ্ৰ ৷ রেলপথে চলিতে চলিতে দেখিলামবদ্বীপের মধ্যে নগর পল্পী ইত্যাদি অতি ঘনসন্নিবিষ্ট । জনপদগুলি খুবই লাগালাগি । নগরের গৃহসমূহ ইষ্টক ও প্রস্তর নিৰ্ম্মিত। পল্লীগ্রামের গৃহ মৃত্তিকা-নিৰ্ম্মিত। বোধ হয় বঁাশ বা চাটাইয়ের বেড়ার দুই দিকে বালি লেপিয়া দেওয়াল নিৰ্ম্মিত হয়। কি নগর, কি পল্লী, কি ইষ্টকনিৰ্ম্মিত ভবন, কি মৃত্তিকাময় কুটির, সকল গৃহ নিৰ্ম্মাণেই এক কায়দা অনুসরণ করা হইয়াছে। গৃহমাত্রই চতুষ্কোণ। জ্যামিতির নিয়মে যেরূপ ক্ষেত্র নিৰ্ম্মিত হয়, এই গৃহগুলি সেইরূপ । বারান্দা প্ৰায়ই নাই—“ভূমির উপর গৃহসমূহ মসজিদের ন্যায় দণ্ডায়মান। দেওয়াল চুনকাম করা অথবা মসজিদের নিয়মে চিত্রিত। সকল গৃহই এই ধরণে গঠিত । আমরা কাইরো নগরের নিকটবৰ্ত্তী হইলাম। আমাদের দক্ষিণে কাইরো এবং পূর্বে ইহার সন্নিহিত পল্লী হেলিয়ো পোলিস। এই পল্লীতে মিশরের খেদিভ সাধারণতঃ বাস করেন। এই দুই নগরের পশ্চাতে শক্ত বালুকাময় পৰ্ব্বত দেখা যাইতেছে। যেন পৰ্ব্বতের পাদদেশেই এই দুই জনপদ অবস্থিত। রেলওয়ে ষ্টেসন ভারতবর্ষের বৃহৎ ষ্টেসনগুলির সমান । তবে নিৰ্ম্মাণপ্ৰণালী এবং কারুকাৰ্য্য সমস্তই মিশরীয় ধরণের। চতুষ্কোণ জ্যামিতিক ক্ষেত্রের নিয়মানুসারে সৌধ নিৰ্ম্মিত, দেওয়াল দেখিয়া মসজিদের ভিতরকার প্রাচীর বলিয়া কিছু ভুল হয়। সমগ্ৰ মিশরদেশের অন্যান্ত গৃহনিৰ্ম্মাণপ্ৰণালীই এই টেশনঘরের জন্যও ব্যবহৃত হইয়াছে ।