পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-পোটসৈয়দ, কাইরো OG) সহরে প্রবেশ করিয়াই দেখি-এই নিৰ্ম্মাণ-প্ৰণালীই সর্বত্র দেখা যাইতেছে। কি আফিস, কি হোটেল, কি দোকান, কি কারখানা, সর্বত্র এক ছাচ, এক ধরণ, এক কায়দা । ইহাতে কলা-কৌশলের ঐক্য ও সামঞ্জস্য সর্বদা চোখে পড়ে। আধুনিক ভারতবর্ষের গৃহনিৰ্ম্মাণে কোন বিশিষ্ট কায়দার অনুসরণ করা হয় না। কেহ প্ৰাচীন প্ৰথায়, কেহ নবাবী আমলের কায়দায়, কেহ ইউরোপীয় মধ্যযুগের নিয়মে, কেহ গথিক ষ্টাইলে,” কেহ গ্ৰীক ‘ষ্টাইলে’ যাহার যাহা খুলী সে সেইরূপ গৃহ নিৰ্ম্মাণ করে । বলা বাহুল্য নগরের শোভাসম্পদ ইহাতে একেবারেই বিনষ্ট হইয়া যায় । সৌন্দৰ্য্য হিসাবে কলিকাতা ও বোম্বাই নগরদ্বয়ের নিৰ্ম্মাণ অতি জঘন্য শ্রেণীর অন্তর্গত। আমাদের জাহাজে এক ওলন্দাজ চিত্রকর বোম্বাই নগরের গৃহ-নিৰ্ম্মাণব্যাপারে এই খিচুড়ি কায়দার উল্লেখ করিয়াছিলেন । তিনি গোয়ালিয়ার নগরের সৌধনিৰ্ম্মাণপ্ৰণালী দেখিয়া সন্তুষ্ট, কারণ সেখানকার শিল্পকাৰ্য্য এক বিশিষ্ট নিয়মে পরিচালিত, সকল গৃহই এক নিয়মে প্ৰস্তুত। কাইরো নগরে এবং মিশরীয় বদ্বীপের পূর্ব অঞ্চলে সাধারণতঃ গৃহনিৰ্ম্মাণ-কৌশলের যেরূপ সামঞ্জস্য, ঐক্য ও শৃঙ্খলা দেখা যায় তাহাতে গোয়ালিয়ারের কথাই মনে পড়িবে। অবশ্য গোয়ালিয়ারে ভারতীয় হিন্দুকায়দা, আর এখানে মিশরীয় ফরাশী প্রভাবযুক্ত মুসলমানী কায়দা, এই যা প্ৰভেদ । রেলওয়ে ষ্টেসনের নিকট কাইরোর বাড়ীঘরগুলি দেখিয়া বোম্বাই সহরের ভিক্টোরিয়া টামিনাস ষ্টেসনের সমীপবৰ্ত্তী বাড়ীঘরের কথা মনে পড়ে। কাইরো একপ্রকার পাশ্চাত্য ইউরোপীয় সহর, বলিলেই চলে। কলিকাতায় বা বোম্বাই নগরে এতগুলি বড় বড় প্রাসাদতুল্য পাশ্চাত্য হোটেল, আফিস, দোকান ইত্যাদি নাই । সহরের অধিকাংশই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বড় বড় ফুটপাথ। এরূপ প্ৰশস্ত খটখাটে রাস্ত কলিকাতায়