পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দিবস-মুসলমানের কাইরো ס\ף অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গলি পার হইয়া এই মসজিদে আসিতে হয় । আমরা প্ৰায় বেলা ৩টার সময় পশ্চিম দরজায় উপস্থিত হইলাম । তখন নামাজের সময় । আমাদের মাথায় পাশ্চাত্য টুপি ছিল— এজন্য আমরা প্ৰবেশ করিতে পারিলাম না । অন্য সময়ে ভিতর দেখিতে পাইব আশা श्रांझेळांभ । এই মসজিদ-বিদ্যালয়ের অনতিদূরে সৈয়দ হাসান-মসজিদ। কারবালার যুদ্ধে হাসানের মৃত্যুর পর তঁহার মস্তক আরব হইতে মিশরে আনা হইয়াছিল। এই স্থানে মস্তকের কবর । ইহার মধ্যেও ইউরোপীয়েরা প্ৰবেশ করিতে পারে না । মহরমের সময়ে মুসলমানেরা দলে দলে আসিয়া এখানে শোক প্ৰকাশ করে । শোক প্ৰকাশের সময়ে ইহার এত প্ৰচণ্ড ও অধীর হইয়া পড়ে যে ইহাকে সৈন্য দ্বারা রক্ষা করা হইয়া থাকে। তাহা না হইলে শোকাৰ্ত্ত মুসলমানেরা এই সৌধ। ভাঙ্গিয়া ফেলিতে অগ্রসর হয় । সৈয়দ হাসানের নিকটেই “কাদির প্রাসাদ” । ইহা এখন ধ্বংসপ্ৰাপ্ত । কেবল দুই দিকের সামান্য দুই অংশ মাত্ৰ বৰ্ত্তমান আছে। পূর্বদিকের প্ৰাচীরের ও ফটকের খানিকটা দেখিতে পাইলাম। আর ইহারই সংলগ্ন দক্ষিণদিকে একটা সুন্দর উচ্চ হল দেখা গেল । এই হল দোতলায় অবস্থিত। নীচে কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ কামরা । এই হলে বসিয়া বিচারকাৰ্য্য বা খোসগল্প হইত। হল বেশ সুচিত্ৰিত । সোণালি অক্ষরে কোরানের বয়েৎ ইহার দেওয়ালে এবং ভিতরকার ছাদে লিখিত, এই লেখাগুলিই আবার সৌধের অলঙ্কারস্বরূপ । “কান্দি” প্ৰাচীন আমলের রাজকৰ্ম্মচারীর নাম। বিৰাহভঙ্গ-ঘটিত বিচার-কাৰ্য্যের জন্য কাদি নিযুক্ত হইতেন । এই ধ্বংসপ্ৰাপ্ত ভবনটি সেই বিচারালয় ছিল। এখান হইতে অল্প দূরে কলাবন সুলতানের মসজিদ, কবর এবং