পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ Տ 6भन्ना ख्ञ%९ পাগলা-গারদ বা হাসপাতাল। এই সুলতান একজন প্ৰসিদ্ধ চাকিৎসকও ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে ইনি রোগীদিগের জন্য একটা হাসপাতাল প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন । এই হাসপাতাল মসজিদের সংলগ্ন ছিল । ইহার সঙ্গে সঙ্গে নিজে বু কবরও প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছিলেন। এই-সমূদয়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট সম্পত্তি “ওয়াকফু” বা দেবোত্তর করেন। মধুর ব্যবসায় হইতে যে আয় হইত। তাহার কিয়দংশ এই মসজিদের জন্য সংরক্ষিত হইয়াছিল । লোকে এই সৌধ গুলিকে পাগলা-গারদ-মসজিদ ८ ८ ।। পূর্বদিকের প্রাচীরের বহির্ভাগে দেখিলাম—এক কোণে একটা জলের ঘর রহিয়াছে-পথিক ও মসজিদের লোক জনেব জন্য এখানে জল সঞ্চিত হইত। এই গৃহে বা ভিতরকার ছাদ সোণালি অলঙ্কারে সুচিত্রিত। প্রাচীরের অন্যান্য ভাগে কতকগুলি স্তম্ভ দেখিতে পাইলাম। এই গুলি এক একখানা পাথরে নিৰ্ম্মিতি-গোলাকার ও বেশ মসৃণ। স্তস্তের উপরিভাগে প্ৰাচীন গ্রীসের “কোরি স্থায়ী” অথবা “ডোরিক।” রচনা-রীতির কারুকাৰ্য্য । সন্ধান লইয়া জানিলাম-মিশরে প্রাচীনকালে অনেক খ্ৰীষ্টান গির্জা ছিল। সেই-সকল গির্জায় রোমান এবং গ্রীকের স্বজাতীয় গৃহনিৰ্ম্মাণ-প্ৰণালী অবলম্বন করিতেন । সেই সমুদয় বিনষ্ট করিয়া সেখান হইতে মালমসলা, ইষ্টক, প্ৰস্তাৱস্তম্ভ, অলঙ্কার ইত্যাদি মুসলমানের বহন করিয়া আনিত । পরে মুসলমানী প্ৰাসাদ, ধৰ্ম্মমন্দির, কবর ইত্যাদির গঠনে সেই-সমুদয় ব্যবহৃত হইত। পাগলা-গারদ মসজিদের বাহিরে ও ভিতরে এইরূপ অনেক গ্ৰীক ও রোমান গির্জার উপকরণ ব্যবহৃত হইয়াছে। নানাপ্রকার স্তম্ভই প্ৰধান । ভারতবর্ষেও মুসলমানের হিন্দু মন্দিরসমূহ ধ্বংস করিয়া তৎপরিবর্তে মসজিদ ও কবর নিৰ্ম্মাণ করিত। মন্দিরের উপকরণগুলিই মুসলমানী সৌধের মসলায় পরিণত হইত।