পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

་ 9 दéभन्न अ१९ সমস্ত মসলিয়ামের প্রাচীর ও ছাদ নানা অলঙ্কারে ভূষিত । মোটা মোটা সোণালি অক্ষরে কোরানের বচন লিখিত। স্থানে স্থানে নানা প্ৰকার মণি মাণিক্য প্ৰস্তরটুিকরা দ্বারা প্ৰাচীরগাত্ৰ অলঙ্কত। তাজমহলে এইরূপ প্ৰস্তরখচিত অস্কলার বেশী দেখা যায় । এই অলঙ্কার-রচনাপ্ৰণালী জ্যামিতিক ক্ষেত্রের নিয়মানুযায়ী । অষ্টকোণ, ষটুকোণ, পঞ্চকোণ ইত্যাদি ক্ষেত্রের বাহুল্য দেখিতে পাইলাম। ভারতীয় মুসলমানী সৌধেও এই অলঙ্কার-রচনা-প্ৰণালী সুপ্ৰচলিত । কলাবনের কোন কোন স্থানে দেখিলাম সোজা সোজা রেখা দ্বারা প্ৰাচীর চিত্ৰিত । রেখাসমূহ নানা রঙ্গের প্রস্তরে গঠিত। আমাদের গাইড মহাশয় বলিলেন “ঐ রেখাগুলি কেবলমাত্র জ্যামিতিক আকৃতিবিশিষ্ট অলঙ্কার নয় । এই সমুদয় কুফিক ভাষার বর্ণলিপি ৷ প্ৰত্যেক দুই তিন রেখা দ্বারা আল্লার নাম লিখিত হইয়াছে । আরবী অক্ষর বক্রাকৃতি-- সেগুলি প্ৰধানতঃ কোরানের বয়েৎ । কিন্তু এই সোজা রেখাগুলি দ্বারা কেবলমাত্র। আল্লার নাম প্ৰচারিত হইতেছে।” আরও কয়েক স্থানে কতকগুলি চিহ্নস্বরূপ অলঙ্কার-রচনা দেখিলাম । এগুলির অর্থ বুঝা গেল না । গাইড বলিলেন, “আজকাল Freemason সম্প্রদায়েরা যেরূপ নানা প্ৰকার সঙ্কেত ও গুহা চিহ্ন ব্যবহার করিয়া থাকে, এগুলি সেই শ্রেণীর অন্তৰ্গত ।” প্ৰাচারের স্থানে স্থানে কতকগুলি নূতন ধরণের অলঙ্কতি দেখা গেল। ভারতবর্ষের মুসলমানী শিল্পে সেগুলি কখনও দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না । সমস্ত মসজিদে নানা প্রকার রং বিশিষ্ট প্রস্তর, ধাতু, মণি, অক্ষর, রেখা ইত্যাদি অতিশয় জাকজমকপূর্ণ দেখায় । রং ফলান অতি সুন্দর। এরূপ রঙের খেলা বেশী শিল্পকৰ্ম্মে দেখিতে পাই না । কলাবনের পূর্ব প্রাচীরের জানালা হইতে একটি জীর্ণ পুরাতন