পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দিবস-মুসলমানের কাইরো ዓ ዓ মসজিদ দেখিতে পাইলাম। ইহার নিৰ্ম্মাণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্ৰ ইষ্টক ব্যবহৃত হইয়াছিল। প্ৰাচ্য ভারতে যাহাকে গৌড়ীয় ইট বলে তাহা কেবলমাত্র গৌড়েরই বিশেষত্ব নয় উত্তর ভারতের নানা স্থানে সেইরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হালকা ইট দেখিয়াছি। সেই ইট কাইরোর প্রাচীন মসজিদেও দেখিতেছি। এই দেশে ইহাকে রোমীয় ইষ্টক বলা হয়। প্ৰাচীনকালে দুনিয়ার সর্বত্র কি একরূপ ইটই ব্যবহৃত হইত ? কলাবন মসজিদের পূর্ব প্রাচীরের “কিবলায়” লক্ষ্য করিবার অনেক জিনিষ আছে। প্ৰত্যেক মসজিদ, কবর, মসলিয়ামেই “কিবুল” থাকে। মক্কার “কাবা।” যে দিকে অবস্থিত সেই দিকে মুখ করিয়া মুসলমানের নামাজ পড়িয়া থাকেন। মসজিদাদির সেই দিকের মধ্যভাগে দেওয়ালের ভিতর किछु অৰ্দ্ধগোলাকার স্থান শিল্পীরা নিৰ্ম্মাণ করিতে বাধ্য। সেই স্থানের নাম “কি বলা” । কিবলাতে বসিয়া ধৰ্ম্মগুরু নামাজ আরম্ভ করিলে তঁাহার পশ্চাদবত্তী জনগণ নামাজ পাঠ করেন । ভারতবর্ষ মক্কার পূর্বে, এজন্য ভারতীয় মসজিদে কিবুলা পশ্চিম দিকে থাকে ; ভারতীয় মুসলমানেরা পশ্চিম দিকে মুখ রাখিয়া নামাজ পড়ে। কিন্তু মিশর মক্কার পশ্চিম দিকে, এজন্য এখানকার মসজিদে কিবলা পূর্বদিকে ; মিশরীয় মুসলমানের পূর্বদিকে মুখ রাখিয়া নামাজ পড়েন । কলাবনের কিবলার দুইদিকে তিনটা করিয়া গ্রানাইট প্রস্তরের স্তম্ভ আছে। গোলাকার অংশের কারুকাৰ্য্য অতি চমৎকার । নানাপ্রকার মুক্তা মাণিক্য পফিরি ইত্যাদি ইহার গায়ে খচিত । নীল মণি, শ্বেত মুক্তা, কৃষ্ণ রক্ত ও পীত পফিরি এবং অন্যান্য ধাতুর টুকরা দ্বারা প্ৰাচীরের অলঙ্কার DDBB DBBLDL LLBDB DDDYDB DBD DLL DBSSDBmtD DDY প্ৰভাবে সমস্ত কিবলা উদ্ভাসিত। কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৰ্ম্মর প্রস্তর কিবলার। গাত্ৰে সন্নিবেশিত রহিয়াছে। এই সমুদয় ইহার একটা বিশেষত্ব।