এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বর্ত্তমান ভারত
আছে, প্রণালী আছে, নিৰ্দ্ধারিত অংশ আছে, কর-সংগ্রহ ও সৈন্যচালনা বা বিচার-সম্পাদন বা দণ্ড পুরষ্কার সকল বিষয়েরই পুঙ্খানুপুঙ্খ নিয়ম আছে, কিন্তু তাহার মূলে ঋষির আদেশ–দৈবশক্তি, ঈশ্বরাবেশ। তাহার স্থিতিস্থাপকত্ব একেবারেই নাই বলিলেই হয় এবং তাহাতে প্রজাবর্গের সাধারণ মঙ্গলকর কার্য্যসাধনোদেশে সহমতি হইবার বা সমবেত বুদ্ধিযোগে রাজগৃহীত প্রজার ধনে সাধারণ সত্ত্ববুদ্ধি ও তাহার আয়-ব্যয়-নিয়মনের শক্তিলাভেচ্ছার কোনও শিক্ষার সম্ভাবনা নাই।
আবার ঐ সকল নিদেশ পুস্তকে। পুস্তকাবদ্ধ নিয়ম ও তাহার কার্য্য-পরিণতি এ দুয়ের মধ্যে দূর—অনেক। একজন রামচন্দ্র শত শত অগ্নিবর্ণের[১] পরে জন্মগ্রহণ করেন। চণ্ডাশোকত্ব
8
- ↑ অগ্নিবর্ণ—সূর্য্যবংশীয় রাজবিশেষ। ইনি প্রজাগণের সহিত সাক্ষাৎ না করিয়া দিবারাত্রি অন্তঃপুরে কাটাইতেন। অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়পরতাদোষে যক্ষ্মারোগে ইহাঁঁর মৃত্যু হয়।