ধর্ম্মের নামে সংসাধিত। চার্ব্বাক, জৈন, বৌদ্ধ, শঙ্কর, রামানুজ, কবীর, নানক, চৈতন্য, ব্রাহ্মসমাজ, আর্য্যসমাজ ইত্যাদি সমস্ত সম্প্রদারের মধ্যে সম্মুখে ফেনিল বজ্রঘোষী ধর্ম্মতরঙ্গ, পশ্চাতে সমাজনৈতিক অভাবের পূরণ। অর্থহীন শব্দনিচয়ের উচ্চারণে যদি সর্ব্বকামনা সিদ্ধ হয়, তাহা হইলে কে আর বাসনাতৃপ্তির জন্য কষ্টসাধ্য পুরুষকারকে অবলম্বন করিবে? সমগ্র সমাজশরীরে যদি এই রোগ প্রবেশ করে, সমাজ একেবারে উদ্যমবিহীন হইয়া বিনাশ প্রাপ্ত হইবে। কাজেই প্রত্যক্ষবাদী চার্ব্বাকদিগের ত্বঙ্ মাংসভেদী শ্লেষের আবির্ভাব। পশুমেধ, নরমেধ, অশ্বমেধ ইত্যাদি বহুল কর্ম্মকাণ্ডের প্রাণ-নিপীড়ক ভার হইতে সমাজকে সদাচার ও জ্ঞানমাত্রাশ্রয় জৈন এবং অধিকৃতজাতিদিগের নিদারুণ অত্যাচার হইতে নিম্নস্তরস্থ মনুষ্যকুলকে বৌদ্ধবিপ্লব ভিন্ন কে উদ্ধার করিত? কালে যখন, বৌদ্ধধর্মের প্রবল সদাচার মহা অনাচারে পরিণত হইল ও
পাতা:বর্ত্তমান ভারত.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বর্ত্তমান ভারত
৩৭