এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বর্ত্তমান ভারত।
কে?— আমি। যথাকালে আমি পশ্চাদেশ হইতে সমস্ত মধু নিষ্পীড়ন করিয়া লইতেছি।
ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়াধিপত্যে যে প্রকার বিদ্যা ও সভ্যতার সঞ্চয়, বৈশ্যাধিকারে সেই প্রকার ধনের। যে টঙ্কঝঙ্কার চাতুর্ব্বর্ণ্যের মনোহরণ করিতে সক্ষম, বৈশ্যের বল সেই ধন। সে ধন পাছে ব্রাহ্মণ ঠকায়, পাছে ক্ষত্রিয় বলাৎকার দ্বারা গ্রহণ করে, বৈশ্যের সদাই এই ভয়। আত্মরক্ষার্থ সেজন্য শ্রেষ্ঠিকুল একমতি। কুসীদকশাহস্ত বণিক্ সকলের হৃৎকম্প উৎপাদক। অর্থবলে রাজশক্তিকে সংকীর্ণ করিতে বণিক্ সদাই ব্যস্ত। যাহাতে রাজশক্তি বৈশ্যবর্গের ধনধান্য সঞ্চয়ের কোন বাধা না জন্মাইতে পারে, সে জন্য বণিক্ সদাই সচেষ্ট। কিন্তু শূদ্রকুলে সে শক্তির সঞ্চার হয়, বণিকের এ ইচ্ছা আদৌ নাই।
“বণিক্ কোন্ দেশে না যায়?” নিজে অজ্ঞ হইয়াও ব্যাপারের অনুরোধে এক দেশের বিদ্যাবুদ্ধি কলা কৌশল বণিক্ অন্য দেশে লইয়া
৪৩