পাতা:বর্দ্ধমানের ইতিকথা - নগেন্দ্রনাথ বসু.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(O স্থান-পরিচয় দেখিয়া পুলকে পূরিত হইয়া আনন্দাশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন। গোবিন্দের ভক্তিদর্শনে চৈতন্যেরাও প্ৰেমাশ্রি বিগলিত হইতে লাগিল। তিনি গোবিন্দকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন, “যাহা বুলিয়াছিলাম, তাহার কিছু হইয়াছে ?” গোবিন্দ সকল কথাই ব্যক্ত করিলেন। DBB uuBTDBDD BBBSDBDBD S DBDDD DBDBBSBB BD DDD SS S SBDBDDBD DDD মঙ্গলের জন্য ঐ শিলা পাঠাইয়াছেন। কল্য এক ভাস্কর আসিয়া ঐ শিলা হইতে শ্ৰীকৃষ্ণবিগ্ৰহ নিৰ্ম্মাণ করিৰে। সেই বিগ্ৰহ আমি প্রতিষ্ঠা করিব ও তুমি তাহার সেবাইত कुशेरत् ।” পর দিন যথাকালে এক অজ্ঞাতকুলশীল অপরিচিত ভাস্কর আসিয়া মুৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া সকলের অসাক্ষাতে চলিয়া গেল। সকলেই দেখিলেন – নবদুৰ্ব্বাদলশ্যাম বঙ্কিম কৃষ্ণবিগ্ৰহ প্ৰস্তুত হইয়াছে।। চৈতন্যদেব তাঁহার প্রতিষ্ঠা করিলেন এবং গোবিন্দ ঘোষ তঁহার পুজক নিযুক্ত হইলেন। ঐ কৃষ্ণবিগ্রহের নামই গোপীনাথ। ( ১১ চিত্র দ্রষ্টব্য) গোবিন্দ ঘোষই পরে ‘ঘোষ-ঠাকুর” নামে খ্যাত হইয়াছিলেন । গোপীনাথ বিগ্ৰহ-প্ৰতিষ্ঠার পর ঘোষ-ঠাকুর বহু দিন জীবিত ছিলেন। ঐ সময়ে তিনি বহুসংখ্যক শিষ্য ও বিস্তর দেবোত্তর সম্পত্তি পাইয়াছিলেন। মৃত্যুর কয়েক দণ্ড পূর্বে তিনি শিষ্যদিগকে বলিয়াছিলেন, “আমি চলিলাম, আজ আমার অন্তিমকাল উপস্থিত। তোমরা যথারীতি প্রভুর সেবা করিও । মহাপ্রভুর আজ্ঞা-আমার প্রাণ বাহির হইলে যথাসময়ে গোপীনাথদেব যেন আমার শ্ৰাদ্ধাদি সম্পন্ন কবেন। আমার দেহ দাহ করিও না, গ্রামের এক পার্থে সমাধি দিও।” এই বলিয়া ভক্তবর গোবিন্দ ইহলোক পরিত্যাগ করেন। প্ৰবাদ এইরূপ, সেই দিন গোপীনাথের চক্ষে ও বিন্দু বিন্দু জল দেখা দিয়াছিল। চৈত্রমাসে কৃষ্ণা একাদশীতে গোপীনাথ শ্ৰান্ধীয় বাস ও কুশাঙ্গুরী পরিয়া সেবকের পুত্ররূপে শ্ৰাদ্ধ করিলেন। এখনও প্ৰতি বৎসর ঐ দিনে গোপীনাথ কর্তৃক ঘোষ-ঠাকুরের শ্ৰাদ্ধ-ক্রিয়া সম্পন্ন হইয়া থাকে। গোপীনাথ দৰ্শন করিবার জন্য বহু দূরদেশ হইতে ভক্ত বৈষ্ণবগণ এখানে আগমন করিাHD SDBDLYJ BBuuBDBD DDBDBDSS BDSDBBY DDBEBEEDKK BD BBD DDDBYS ক্রমে তাহদের প্রভাব রাঢ় ছাড়িয়া পূর্ববঙ্গে পহুছিল । পুর্ববঙ্গের বহু সন্ত্রান্ত ব্যক্তি তাহাদের কাহারও কাহার ও শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিলেন, তঁহারাও শিষ্যসম্পত্তি রক্ষার জন্য অনেকে পূর্ববঙ্গ আশ্ৰয় করিলেন। এই সঙ্গে তঁহাদের হৃদয়ে গোপীনাথ-বিগ্ৰহ লইয়া যাইবার আশা বলবতী হইল। কিন্তু তঁহাদের যে সকল সরিক রাঢ়ে ছিলেন, তঁাহারা গোপীনাথকে ছাড়িতে সম্মত হইলেন না। পূর্ববঙ্গগামী ঘোষবংশীয়গণ একদিন গোপনে গোপীনাথকে লইয়া চলিলেন, জ্ঞাতিগণ ংবাদ পাইয়া পথ আটকাইলেন, কিন্তু তাহদের সঙ্গে বেশী লোকজন থাকায় জ্ঞাতিগণ ফিরিয়া আসিলেন এবং তৎকালের পাটুলীর উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থরাজের নিকট বিগ্ৰহ উদ্ধার করিয়া দিবার জন্য অনুরোধ করিলেন। পাটুলীর রাজারা তৎক্ষণাৎ একদল সৈন্য পাঠাইয়া কুষ্টিয়ার নিকট