পাতা:বর্দ্ধমানের ইতিকথা - নগেন্দ্রনাথ বসু.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ や স্থান-পরিচয় হইয়া ঘূনীর দক্ষিণ ও মালুমগাছার পার্শ্ব দিয়া গবীপুর পর্য্যন্ত গিয়া অদৃশ্য হইয়াছে। গবীপুরের প্ৰাচীন লোকেরা বলিয়া থাকেন যে, ঐ জাঙ্গাল পূৰ্ব্বে বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, ক্ৰমে কৃষকগণের কৃপায় সে সমস্তই লুপ্ত হইয়াছে। উক্ত উভয় জাঙ্গালই “রাজার জাঙ্গাল’ বা “বল্লালসেনের জাঙ্গাল’ নামে স্থানীয় অধিবাসিগণের নিকট পরিচিত। ঐ জাঙ্গালের ধারে ধারে ৩, ৪ ক্রোশ অন্তর বড় বড় পুরাতন পুষ্করিণী দেখা যায়, তন্মধ্যে সঁওতা, ভাগ, বীরগাছী, বিক্রমপুর, ভবানীপুর, রাজাপুর, বিস্বগ্রাম ও নবদ্বীপের পুষ্করিণী প্ৰসিদ্ধ। ভবানীপুর ও নবদ্বীপের পুষ্করিণী আজও “বল্লালের দীর্ঘী” নামেই পরিচিত। আজও কেহ কেহ অপর স্থানের মজা পুকুরগুলিকে বল্লালসেনের নামের অপভ্রংশে ‘বললামসেনের কীৰ্ত্তি’ বলিয়া মনে করেন। পূর্বে এই স্থান বৰ্দ্ধমান জেলার কঁাটোয়া মহকুমার অধীন ছিল। প্ৰায় ৫০ বর্ষ হইল, কঁটোয়ার ডেপুটী মাজিষ্ট্রেট ৬৮ঈশ্বরচন্দ্ৰ মিত্ৰ মহাশয় কাৰ্য্যগতিকে দেবগ্রামে আসিয়া কিছু দিন BBBBD BB S BB DDD DBB DDD DBBB DDSDDDD DDBDED sODDBD সাহায্যে “বল্লালের ভিট” খনন করাইয়াছিলেন । দেব গ্রামের প্রাচীন লোকেরা বলিয়া থাকেন। -- খননকালে ঐ স্ত,প হইতে বহুতর কাটা-পাথর, ভগ্ন পাথরের भूडैि ( २५ जिो छेद) ), डॉक्षद्रকাৰ্য্যযুক্ত পাথরের চৌকাট, পদ্ম ও নরনারী মূৰ্ত্তিযুক্ত পাথর ( ১৯২০ চিত্র দ্রষ্টব্য), ৪৷৫ হাত লম্বা পাথরের থাম ( ২১ চিত্র দ্রষ্টব্য), পাথরের মকরমুখ’ নর্দামা, দৈর্ঘ্যে তিন হাত ও প্রন্থে দুই হাত লিপিযুক্ত একখণ্ড প্রস্তরফলক এবং কাটি হইতে জানু পৰ্য্যন্ত মালকোচ করিয়া কাপড়পরা মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছিল। ৬/ঈশ্বরচন্দ্ৰ মিত্ৰ মহাশয় লিপিয়ুক্ত প্রস্তরফলক ও কতকগুলি ভাঙ্গা মূৰ্ত্তি মিউজিয়মে পাঠাইবার জন্য কঁটোয়ায় লইয়া যান। বামনদাস বাবু অনেক পাথর তাহার একডালার কাছারীতে পাঠাইয়া দেন। সে সময়ে এখানকার মডেল স্কুলের শিক্ষক ৬ দীননাথ ন্যায়ালঙ্কার মহাশয় তাহার স্বগ্রাম সালুর্গা দোগাছিয়া গ্রামে এখান হইতে মকর মুখ” নর্দামা ও ক একটী মূৰ্ত্তি লইয়া গিয়াছেন । এতদ্ব্যতীত গ্রামস্থ নানা লোকে সেই সকল কাটা-পাথর স্ব স্ব গৃহে আনিয়া নানা কাজে ব্যবহার করিতেছেন। মালকোচ করিয়া কাপড়পর ভগ্ন মূৰ্ত্তিটা বহু দিন কুলাইচণ্ডীতলায় পড়িয়াছিল। উহা ওজনে প্ৰায় ২ মণ হইবে, ਸੈ। বলবান ব্যক্তি সেই ভগ্ন মূৰ্ত্তিী তুলিয়া স্ব স্ব বলপরীক্ষা করিত। স্থানীয় লোকের নিকট তাহ “বল্লালসেনের বুক” বা “বল্লালসেনের ধড়” বলিয়া পরিচিত ছিল। কিছুদিন হইল বৈরামপুর গ্রামে সেই ধড়টা লইয়া গিয়াছে। এই ধড়টীর অনুসন্ধান আবশ্যক। এখনও “বল্লালের ভিটা” রীতিমত খনন করিলে অনেক পুরাকীৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইতে পারে। যখন “বহরমপুররোড” প্ৰস্তুত হয় নাই, তখন এই ভিটার ধ্বংসাবশেষ সাঁওতার দীর্ঘীর উত্তর পাড় হইতে আরম্ভ হইয়া বরাবর প্রায় অৰ্দ্ধ মাং লি বিস্তৃত ছিল । এখনও ঐ অংশ খনন করিলেই মধ্যে মধ্যে পুরাতন ইট বাহির হয়। পূৰ্ব্বে এই সঁওতার দীবী প্ৰায় ৪০ বিঘা ছিল, ইহার উপর দিয়াই “বহরমপুর-রোড” গিয়াছে, কিন্তু এখন ইহার অধিকাংশই শুষ্ক গোচরণ মাঠ হইয়া পড়িয়াছে। ( २२ रुिद्ध छेदJ) ।