এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ৰলাকা যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে, ইংলণ্ডের দিকপ্রান্ত পেয়েছিল সেদিন তোমারে আপন বক্ষের কাছে, ভেবেছিল বুঝি তারি তুমি কেবল আপন ধন ; উজ্জ্বল ললাট তব চুমি” রেখেছিল কিছুকাল অরণ্যশাখার বাহুজালে, ঢেকেছিল কিছুকাল কুয়াশা-অঞ্চল-অন্তরালে বনপুষ্প-বিকশিত তৃণঘন শিশির-উজ্জ্বল পরীদের খেলার প্রাঙ্গণে দ্বীপের নিকুঞ্জতল তখনো ওঠেনি জেগে কবিসূৰ্য্য-বন্দনা-সঙ্গীতে। তা’র পরে ধীরে ধীরে অনন্তের নিঃশবদ ইঙ্গিতে দিগন্তের কোল ছাড়ি’ শতাব্দীর প্রহরে প্রহরে উঠিয়াছে দীপ্তজ্যোতি মধ্যাহ্নের গগনের পরে ; নিয়েচ আসন তব সকল দিকের কেন্দ্রদেশে বিশ্বচিত্ত উস্তাসিয়া ; তাই হের যুগান্তর-শেষে ভারতসমুদ্রতীরে কম্পমান শাখাপুঞ্জে আজি নারিকেলকুঞ্জবনে জয়ধ্বনি উঠিতেছে বাজি । ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৩২২ শিলাইদহ Xe X