পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 চতুর্থ সৰ্গ । চরী, তাহার সমীপদেশে উপস্থিত হইয়। কহিলেন ভর্তুদারিকে ! কোথাকার এক অপরিচিত পুরুষ আসিয়া আপনকার পুষ্পোদ্যানে প্রবেশ করিয়াছেন, এবং অশ্রুবারি বিসর্জন করিতে করিতে কহিতেছেন হা সখে বসন্তসেন ! তুমি কোথায় রহিলে ? তোমার বিরহে কেমন করিয়া জীবন ধারণ করিব ? হা বিধাতঃ ! আমার সখা কি অদ্যাপি ভুলোকে বিচরণ করিতেছেন, না একেবারেই তিনি করাল কালের কুক্ষিসাৎ হইয়াছেন _হ মিত্ৰ ! আমি তোমার জন্যে পৰ্ব্বত, কন্দর প্রভৃতি অতি নিভৃত স্থানও পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে অম্বেষণ করিয়াছি, তথাপিও কোন স্থানে তোমার পদচিহ্ন লক্ষিত হয় নাই। তুমি মনে করিয়াছ যে আমাকে পরিত্যাগ করিয়া এই নানা ক্লেশের নিদানীভূত পৃথুিমণ্ডল হইতে অপসারিত হইব। কিন্তু তাহা কখনই হইবে না, তোমার যে মিত্র অতি শৈশবাবধি তোমার সমভিব্যাহারে একত্র শয়ন উপবেশনাদি করিয়া আসিয়াছে, তাহাকে তুমি কি নিমিত্ত পরিত্যাগ করিতে চাহিতেছ ? আমি নিশ্চয় বলিতেছি যে মুহুর্ভে জানিতে পারিব তুমি কালের করাল গ্রাসে পতিত হইয়াছ, সেই মুহ হেঁই আমি এই ক্ষণভঙ্গুর শরীরকে নিপাতিত করিয়া তোমার অনুগামী হইব । বসন্তকুমারী চন্দ্রমালার বাক্য শ্রবণ করিয়া কহিলেন সখি ! তুমি ক্ষণবিলম্ব ব্যতিরেকে তাহাকে এই স্থানে আনয়ন কর ; আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে, তিনি যুবরাজের একজন পরম হিতৈষী মিত্র হইবেন । র্তাহাকে দেখিলেও আমার চিত্তচাঞ্চল্য আপাততঃ অনেকাংশে দূরীভূত