পাতা:বস্তুবিচার.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায়। শিশির –বরফ । শীতকালে প্রভাত সময়ে গাত্রে থান করিয়া দেখিলে, অনাৰ্বত তৃণক্ষেত্রের উপরিভাগে মুক্তাকলাপের ন্যায় শিশিরবিন্দুস কল পতিত বহিয়াছে, দৃষ্টিগোচর হয় । কিন্তু ঐ শিশিব যে কিরূপে জন্মে, তা ছু অনেকের জামা নাই । কাহার ও বোধ আছে যে, উহা বৃষ্টির নায় মভোমণ্ডল ছষ্টতে পতিত হয়, কিন্তু বাস্তবিক তাহী নহে । উছা যেরূপে উৎপন্ন হয়, নিম্নভাগে তাছার কিঞ্চিৎ বিবরণ লিখিত হইতেছে। স্বর্ষ্যের প্রখর কিরণদ্বার। পৃথিবীর জলভাগ সকল বাম্পের আকার ধারণকরিয়া উত্থিত হয় । ঐ বাপ কতক মেঘ হয় ও কতক অদৃশ্যভাবে বায়ুর সহিত মিলিত হয় । এদিকে পৃথিবীস্থ সমুদয় বস্তুই দিবণভাগে স্বর্য্যের যে তাপ গ্রহণ করে, রজনীতে তাহ বিকরণ করিয়। অপেক্ষাকৃত শীতল হয় । তাপ বিকরণ করিতে কৈাম বস্তুর আণপক্ষণ কোন বস্তুর অধিকক্ষণ অণবশ্যক হয় । যাহা হউক, যে বস্তু শীঘ্রই তাপবিকরণ করিয়া অধিক শীতল হয়, তা হাতে ঐ বর্ণপমিশ্রিত বায়ু লাগি বামাত্র উক্ত বাপ যমিয়, জল হইয়। উছার গাত্রে লাগিয়া থাকে । উহাকেই আমরা শিশির বলি । অন্যান্য বস্তু অপেক্ষ তৃণ, পত্র, কেশ, কাচ প্রভৃতি দ্রব্যে যে, অধিক শিশির দৃষ্ট হয়, উক্ত তৃণাদির আশুবিকরণকারিতাই তাড়ার মূল কারণ।