পাতা:বস্তুবিচার.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোঁহ । q > লৌহ উৎপন্ন হয়, তাহাতে মাটি, চূণ, চূর্ণপ্রস্তর প্রভৃতি অনেক দ্রব্য মিশ্রিত থাকে । বিশুদ্ধ করিতে হইলে উহাতে সাতিশয় উত্তাপ লাগাইতে ছয় । ঐ উত্তাপে অন্যান্য দ্রব্য উড়িয়া গেলেও মাটি ও চুণ কিঞ্চিৎ রছিয়ণযায়। কিন্তু ঐ বস্তৃদ্বয় যখন লেছে সমানভাগে থাকে, তখন উছার পরম্পরই পরস্পরকে গলাইয়া পৃথক করিবার চেষ্টা করে । এইজন্য লৌহ গলাইবার সময়ে বিবেচনাপূর্বক দেখিয়া উছাতে উক্ত বস্তুদ্বয়ের মধ্যে যাহা কম থাকে, তাহ প্রদান করিতে হয় । ঐরূপ করিয়া ভস্ত্রণম্বারা সাতিশয় উত্তাপ প্রদান করিতে করিতে উক্ত মৃত্তিকাদি মিলিত হুইয়। লৌহের উপর ভাসিতেখাকে। উছাকে লেছৰিষ্ঠ বা মগুর কছে। ঐকালে লোহ, শুদ্ধ অঙ্গার ও চূর্ণ-প্রস্তরের সচিত দ্রবীভূত হইয়। ভারপ্তযুক্ত নিম্নে পড়িয়া যায় । তৰঙ্গ ঐ ছাপরের নিম্নভাগে যে ছিদ্র থাকে, তাহ। খুলিয়া দিলে পর উক্ত লৌহজব অগ্নিময় স্রোতের ন্যায় বহির্গত হইয়। ক্রমশঃ শীতল ও কঠিন হইয় পড়ে । ইহাকেই চালালোছ কহে । চাল লোহা এরূপ কঠিন হয় ষে, তাহাকে ছাতুড়ির আঘাতেও পাত করিতে পারাযায় না, অধিক লাগিলে ভাজিয়া যায় । তৎকালে উছ ঈষৎ কৃষ্ণবর্ণ হয়। উহাম্বারা একপ্রকার কটাহ, রেলওয়ের রেইল ও কামানের গোলা প্রভৃতি প্ৰস্তুত 要预目 চালালোছা হইতে পেটালোহা প্ৰস্তুত করিয়া থাকে। প্রথমতঃ চালালোছাকে স্থাপরে ফেলিয়। দ্রবীভূত করত অনবরত দুই ঘণ্টাকাম নাড়িতে হয় । এ কালে উছার অভ্যন্তরস্থ অঙ্গীরভাগ অনেক দগ্ধ হইয়।