পাতা:বহুবিবাহ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
যদি স্ত্রী সুরাপায়িণী, ব্যভিচারিণী, সতত স্বামীর অভিপ্রায়ের বিপরীতকারিণী, চিররোগিণী, অতিক্রূরস্বভারা, ও অর্থনাশিনী হয়, তৎসত্ত্বে অধিবেদন, অর্থাৎ পুনরায় দারপরিগ্রহ, করিবেক।

বন্ধ্যাষ্টমেহধিবেদ্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্রজা।
একাদশে স্ত্রীজননী সদ্যস্তৃপ্রিয়বাদিনী। ৯। ৮১।[১]

স্ত্রী বন্ধ্যা হইলে অষ্টম বর্ষে, মৃতপুত্রা হইলে দশম বর্ষে, কন্যামাত্র প্রসবিনী হইলে একাদশ-বর্ষে, ও অপ্রিয়বাদিনী[২] হইলে কালাতিপাত ব্যতিরেকে, অধিবেদন করিবে।

বিবাহের এই তৃতীয় বিধি। এই বিধি অনুসারে, স্ত্রী বন্ধ্যা প্রভৃতি অবধারিত হইলে তাহার জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করা আবশ্যক।

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশো বরাঃ॥৩। ১২।
শূদ্রৈব ভার্য্যা শূদ্রস্য সা চ স্বা চ বিশঃ স্মৃতেঃ।
তে চ স্বা চৈব রাজ্ঞশ্চ তাশ্চ স্বা চাগ্রজন্মনঃ॥৩।১৩।[৩]

দ্বিজাতির পক্ষে অগ্রে সবর্ণাবিবাহই বিহিত। কিন্তু, যাহারা যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহ করিতে প্রবৃত্ত হয়, তাহারা অনুলোমক্রমে বর্ণান্তরে বিবাহ করিবেক; অর্থাৎ ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণী, ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা, শূদ্রা; ক্ষত্রিয়ের ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা, শূদ্রা; বৈশ্যের বৈশ্যা, শূদ্রা; শূদ্রের একমাত্র শূদ্রা ভার্য্যা হইতে পারে।

বিবাহের এই চতুর্থ বিধি। এই বিধি অনুসারে, সবর্ণাবিবাহই ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এই তিন বর্ণের পক্ষে প্রশস্তকল্প। কিন্তু, যদি কোনও উৎকৃষ্ট বর্ণ, যথাবিধি সবর্ণাবিবাহ করিয়া, যদৃচ্ছাক্রমে পুনরায় বিবাহ করিতে অভিলাষী হয়, তবে সে আপন অপেক্ষা নিকৃষ্ট বর্ণে বিবাহ করিতে পারে।


  1. মনুসংহিতা।
  2. যে সতত স্বামীর প্রতি দুঃশ্রব কটুক্তিপ্রয়োগ করে।
  3. মনুসংহিত।