পাতা:বহুবিবাহ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় আপত্তি।

 কেহ কেহ আপত্তি করিতেছেন, বহুবিবাহপ্রথা নিবারিত হইলে, কুলীন ব্রাহ্মণদিগের জাতিপাত ও ধর্ম্মলোপ ঘটিবেক। এই আপত্তি ন্যায়োপেত হইলে, বহুবিবাহ প্রথার নিবারণচেষ্টা কোনও ক্রমে উচিত কর্ম্ম হইত না। কৌলীন্যপ্রথার পূর্ব্বাপর পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে, এই আপত্তি ন্যায়োপেত কি না, ইহা প্রতীয়মান হইতে পারিবেক; এজন্য, কৌলীন্যমর্য্যাদার প্রথম ব্যবস্থা ও বর্ত্তমান অবস্থা সংক্ষেপে উল্লিখিত হইতেছে।

 রাজা আদিসূর, পুত্রেষ্টিযাগের অনুষ্ঠানে কৃতসঙ্কল্প হইয়া, অধিকারস্থ ব্রাহ্মণদিগকে যজ্ঞসম্পাদনার্থে আহ্বান করেন। এ দেশের তৎকালীন ব্রাহ্মণেরা আচারভ্রষ্ট ও বেদবিহিত ক্রিয়ার অনুষ্ঠানে নিতান্ত অনভিজ্ঞ ছিলেন; সুতরাং তাঁহারা আদিসূরের অভিপ্রেত যজ্ঞ সম্পাদনে সমর্থ হইলেন না। রাজা, নিরুপায় হইয়া, ৯৯৯ শাকে[১] কান্যকুজ্বরাজের নিকট, শাস্ত্রজ্ঞ ও আচারপূত পঞ্চ ব্রাহ্মণ প্রেরণ প্রার্থনায়, দূত প্রেরণ করিলেন। কান্যকুব্জরাজ, তদনুসারে, পঞ্চ গোত্রের পঞ্চ ব্রাহ্মণ পাঠাইয়া দিলেন;—

শাণ্ডিল্যগোত্র ভট্টনারায়ণ।
কাশ্যপগোত্র দক্ষ।

  1. আদিসুরো নবনবর্ত্যধিকনবশতীশতাব্দে পঞ্চ ব্রাক্ষণামানায়য়ামাসু।
    কৃষ্ণচন্দ্রচরিত্র।