পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তৃতীয় আপত্তি।


  কেহ কেহ আপত্তি করিতেছেন, বহুবিবাহ প্রথা রহিত হইলে, ভঙ্গ কুলীনদিগের সর্ব্বনাশ। এক ব্যক্তি অনেক বিবাহ করিতে না পারিলে, তাঁহাদের কৌলীন্যমর্য্যাদার সমূলে উচ্ছেদ ঘটিবেক। এই আপত্তির বলাবল বিবেচনা করিতে হইলে, ভঙ্গকুলীনের কুল, চরিত্র প্রভৃতির পরিচয় প্রদান আবশ্যক।

 পূর্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে, বংশজকন্যা বিবাহ করিলে, কুলীনের কুলক্ষয় হয়, এজন্য কুলীনেরা বংশজকন্যার পাণিগ্রহণে পরাঙ্মুখ থাকেন। এ দিকে, বংশজদিগের নিতান্ত বাসনা, কুলীনে কন্যাদান করিয়া বংশের গৌরববৃদ্ধি করেন। কিন্তু সে বাসনা অনায়াসে সম্পন্ন হইবার নহে। যাঁহারা বিলক্ষণ সঙ্গতিপন্ন, তাদৃশ বংশজেরাই সেই সৌভাগ্যলাভে অধিকারী। যে কুলীনের অনেক সন্তান থাকে, এবং অর্থলোভ সাতিশয় প্রবল হয়, তিনি, অর্থলাভে চরিতার্থ হইয়া, বংশজকন্যার সহিত পুত্রের বিবাহ দেন। এই বিবাহ দ্বারা কেবল ঐ পুত্রের কুলক্ষয় হয়, তাঁহার নিজের বা অন্যান্য পুত্রের কুলমর্য্যাদার কোনও ব্যতিক্রম ঘটে না।

 এইরূপে, যে সকল কুলীনসন্তান, বংশজকন্যা বিবাহ করিয়া, কুলভ্রষ্ট হয়েন, তাঁহারা স্বকৃতভঙ্গ কুলীন বলিয়া উল্লিখিত হইয়া থাকেন। ঈদৃশ ব্যক্তির অতঃপর বংশজকন্যা বিবাহে আর আপত্তি থাকে না। কুলভঙ্গ করিয়া কুলীনকে কন্যাদান করা বহুব্যয়সাধ্য, এজন্য সকল বংশজের ভাগ্যে সে সৌভাগ্য ঘটিয়া উঠে না। কিন্তু স্বকৃতভঙ্গ কুলীনেরা কিঞ্চিৎ পাইলেই তাঁহাদিগকে চরিতার্থ করিতে