পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
৭৯

তত্ত্ব করিতে হয়। তবে তত্ত্বের সামগ্রী ইচ্ছানুরূপ না হইলে, জামাতৃপক্ষীয় স্ত্রীলোকেরা অসন্তুষ্ট হইয়া থাকেন। কোনও কোনও স্থলে এই অসন্তোষ এত প্রবল ও দুর্নিবার হইয়া উঠে যে তদুপলক্ষে পুনরায় পুত্রের বিবাহ দেওয়া আবশ্যক হয়।

 তৃতীয়;—কখনও কখনও অতি সামান্য কারণে বৈবাহিকদিগের পরস্পর বিলক্ষণ অস্বরস ঘটিয়া উঠে। তথাবিধ স্থলেও পিতা মাতা, বৈবাহিককুলের উপর আক্রোশ করিয়া, পুনরায় পুত্রের বিবাহ দিয়া থাকেন।

 চতুর্থ;—কোনও কারণে, কোনও কোনও স্থলে, পুত্রবধূর উপর শাশুড়ীর বিষম বিদ্বেষ জন্মে। সেই বিদ্বেবুদ্ধির বশবর্ত্তিনী হইয়া, তিনি স্বামীকে সম্মত করিয়া পুনরায় পুত্রের বিবাহ দেন।

 পঞ্চম;—অধিক অলঙ্কার দানসামগ্রী প্রভৃতি পাওয়া যাইতেছে, এই লোভে আক্রান্ত হইয়া, কোনও কোনও পিতা মাতা কদাকারা কন্যার সহিত পুত্রের বিবাহ দেন। সেই স্ত্রীর উপর পুত্রের অনুরাগ জন্মে না। পরিশেষে পুত্রের সন্তোষার্থে পুনরায় তাহার বিবাহ দিতে হয়।

 ষষ্ঠ;—অন্য কোনও লোভ নাই, কেবল কুটুম্বিতার বড় সুখ হইবেক, এ অনুরোধেও পিতা মাতা, পুত্রের হিতাহিত বিবেচনা না করিয়া, তাহার বিবাহ দিয়া থাকেন। সে স্থলেও অবশেষে পুনরায় পুত্রের বিবাহ দিবার আবশ্যকতা ঘটে।

 যদি রাজশাসন দ্বারা বহুবিবাহ প্রথা রহিত হইয়া যায়, তাহা হইলে, পুত্রের বিবাহবিয়ে পিতামাতার যে স্বেচ্ছাচার আছে, তাহার উচ্ছেদ হইবেক। সুতরাং তাঁহাদেরও তন্নিবারণবিষয়ে আপত্তি করিবার আবশ্যকতা আছে। কিন্তু এপর্য্যন্ত, কোনও পক্ষ হইতে তাদৃশ আপত্তি স্পষ্ট বাক্যে উচ্চারিত হয় নাই। সুতরাং, ঐ সকল আপত্তির নিৱাকরণে প্রবৃত্ত হইবার প্রয়োজন নাই।