পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
বহুবিবাহ।

বুদ্ধিবলে উদ্ভাবিত অভিনব মীমাংসা নহে। পূর্ব্বতন প্রসিদ্ধ গ্রন্থকর্তারাও ঈদৃশ স্থলে এইরূপ ব্যাখ্যাই করিয়া গিয়াছেন।

 "তথাচ যমঃ

 ভার্য্যাঃ সজাত্যাঃ সর্ব্বেষাং ধর্ম্ম প্রথমকল্পিত ইতি।

 অমর্থঃ সমাবৃত্তস্য ত্রৈবর্ণিকস্য প্রথমবিবাহে সবর্ণৈব  প্রশস্ত।” (১৭)।[১]


 যম কহিয়াছেন, জাতীয় ভার্য্যা সকলের পক্ষে মুখ্য মুখ্য কল্প”।
 ইহার অর্থ এই, সমাবৃত্ত অর্থাৎ ব্রহ্মচরয্যসমাধানান্তে গৃহস্থাশ্রম-
 প্রবেশান্মুখ ত্রৈবর্ণিকের অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যর প্রথম
 বিবাহে সবর্ণাই প্রশস্তা।

দেখ, এই যমবচনে, পৈঠীীনসিবচনের ন্যায়, “ভার্য্যাঃ” “সর্ব্বেষাম্” এই স্থলে ভার্য্যাশব্দে ও সর্ব্বশব্দে বহুবচন আছে; কিন্তু মিত্রমিশ্র “সবর্ণৈব” “ত্রৈবর্নিকস্য” এই একবচনাপদপ্রয়াগপূর্ব্বক ঐ দুই বহুবচনান্ত পদের ব্যাখ্যা লিখিয়াছেন। ভার্য্যাপদের বহুবচন যদি বহুভার্য্যাবিবাহের বোধক হইত, তাহা হইলে তিনি “সজাত্যাঃ ভার্য্যাঃ” ইহার পরিবর্তে “সবর্ণৈব”, এবং “সর্ব্বেষাম্” ইহার পরিবর্ত্তে “ত্রৈবর্ণিকস্য”, এরূপ একবচনাপদপ্রয়োগ করিতেন না; কিন্তু তাদৃশ পদপ্রয়োগ করিয়া, ঈদৃশ স্থলে একবচন ও বহুবচনের অর্থগত ও তাৎপর্য্যগত কোনও বৈলক্ষণ্য নাই; তদ্বিষয়ে সম্পূর্ণ সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন। দায়ভাগধৃত পৈঠীনসিবচন ও বীরমিত্রোদয়ধৃত যমৰচন সর্ব্বাংশে তুল্য; যথা,

পৈঠীনসিবচন

 ভার্য্যাঃ সজাতীয়াঃ সর্ব্বেষাং শ্রেয়স্যঃ স্যুঃ।

ঘমবচন

 ভার্য্যাঃ সজাত্যাঃ সর্ব্বেষাং ধর্ম্মঃ প্রথমকল্পিকঃ।

  1. (১৭) বীরমিত্রোদয়।