বুদ্ধিবলে উদ্ভাবিত অভিনব মীমাংসা নহে। পূর্ব্বতন প্রসিদ্ধ গ্রন্থকর্তারাও ঈদৃশ স্থলে এইরূপ ব্যাখ্যাই করিয়া গিয়াছেন।
"তথাচ যমঃ
ভার্য্যাঃ সজাত্যাঃ সর্ব্বেষাং ধর্ম্ম প্রথমকল্পিত ইতি।
অমর্থঃ সমাবৃত্তস্য ত্রৈবর্ণিকস্য প্রথমবিবাহে সবর্ণৈব প্রশস্ত।” (১৭)।[১]
যম কহিয়াছেন, জাতীয় ভার্য্যা সকলের পক্ষে মুখ্য মুখ্য কল্প”।
ইহার অর্থ এই, সমাবৃত্ত অর্থাৎ ব্রহ্মচরয্যসমাধানান্তে গৃহস্থাশ্রম-
প্রবেশান্মুখ ত্রৈবর্ণিকের অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যর প্রথম
বিবাহে সবর্ণাই প্রশস্তা।
দেখ, এই যমবচনে, পৈঠীীনসিবচনের ন্যায়, “ভার্য্যাঃ” “সর্ব্বেষাম্” এই স্থলে ভার্য্যাশব্দে ও সর্ব্বশব্দে বহুবচন আছে; কিন্তু মিত্রমিশ্র “সবর্ণৈব” “ত্রৈবর্নিকস্য” এই একবচনাপদপ্রয়াগপূর্ব্বক ঐ দুই বহুবচনান্ত পদের ব্যাখ্যা লিখিয়াছেন। ভার্য্যাপদের বহুবচন যদি বহুভার্য্যাবিবাহের বোধক হইত, তাহা হইলে তিনি “সজাত্যাঃ ভার্য্যাঃ” ইহার পরিবর্তে “সবর্ণৈব”, এবং “সর্ব্বেষাম্” ইহার পরিবর্ত্তে “ত্রৈবর্ণিকস্য”, এরূপ একবচনাপদপ্রয়োগ করিতেন না; কিন্তু তাদৃশ পদপ্রয়োগ করিয়া, ঈদৃশ স্থলে একবচন ও বহুবচনের অর্থগত ও তাৎপর্য্যগত কোনও বৈলক্ষণ্য নাই; তদ্বিষয়ে সম্পূর্ণ সাক্ষ্য প্রদান করিয়াছেন। দায়ভাগধৃত পৈঠীনসিবচন ও বীরমিত্রোদয়ধৃত যমৰচন সর্ব্বাংশে তুল্য; যথা,
পৈঠীনসিবচন
ভার্য্যাঃ সজাতীয়াঃ সর্ব্বেষাং শ্রেয়স্যঃ স্যুঃ।
ঘমবচন
ভার্য্যাঃ সজাত্যাঃ সর্ব্বেষাং ধর্ম্মঃ প্রথমকল্পিকঃ।
- ↑
(১৭) বীরমিত্রোদয়।