পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
বহুবিবাহ।

নির্দ্দেশ করিয়াছেন, “যদি সাগ্নিক গৃহস্থ, নিমত্তবশতঃ, পূর্ব্বস্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় দারপরিগ্রহের ইচ্ছা করে, কোন অগ্নিতে সেই বিবাহের হোম করিবেক। প্রথম বিবাহের অগ্নিতেই ঐ হোম করিতে হইবেক, লৌকিক অর্থাৎ নূতন অগ্নিতে কদাচ করিবেক না”। ত্রিকাগুনগুনও কহিয়াছেন, “যদি সাগ্নিক গৃহস্থ, প্রথমা স্ত্রী বিদ্যমান থাকিতে, দ্বিতীয়া বিবাহ করে, তাহা হইলে অবসধ অগ্নিতে বিবাহসংক্রান্ত কর্ম্ম করিবেক।” সুদর্শনভাষ্যে নির্দ্দিষ্ট আছে, দ্বিতীয় বিবাহের হোম লৌকিক অগ্নিতেই করিবেক, পূর্ব্ববিবাহের অগ্নিতে নহে। অসম্ভব পক্ষে এই ব্যবস্থা। এ পক্ষে অগ্নিদ্বয়ের মেলন করিতে হয়; শৌনক তাহার বিধি দিয়াছেন, “স্ত্রীদিগের সহাধিকার সিদ্ধির নিমিত্ত, সপত্নীভেদনিমিত্তক গৃহ্য অগ্নীদ্বয়ের মেলনবিধি কহিতেছি। ধর্ম্মলোপভয়ে অরোগা কন্যার পাণিগ্রহণ করিবেক। বিবাহ সম্পন্ন হইলে, ব্রতান্তে, পর দিবসে, যথাবিধি পৃথক্ দুই স্থণ্ডিলে দুই অগ্নির স্থাপন করিয়া, পৃথক্ অম্বাধান প্রভৃতি আজ্যভাগ পর্যন্ত কর্ম্ম সম্পাদন পূর্ব্বক, পুর্ব্বপত্নীর সহিত সমবেত হইয়া, “অগ্নীনীলে পুরোহিতম” ইত্যাদি নব মন্ত্র দ্বারা প্রথম বিবাহের অগ্নিতে আহুতি প্রদান করিবেক। পরে “অয়ং তে যোনিঃ” এই মন্ত্র দ্বারা সমিধের উপর ঐ অগ্নির ক্ষেপণ করিয়া, “প্রত্যবরোহ” এই মন্ত্র দ্বারা কনিষ্ঠাগ্নিতে অর্থাৎ দ্বিতীয় বিবাহের অগ্নিতে ক্ষেপণ পূর্ব্বক, প্রথম হইতে আজ্যভাগান্ত কর্ম্ম করিয়া, উভয় পত্নীর সহিত সমবেত হইয়া, হোম করবেক, অনন্তর “অগ্নাবগ্নিশ্চরতি", “অগ্নি নাগ্নিঃ সমিধ্যতে”, এই দুই, “অস্তীদম্” ইত্যাদি তিন, “পাহি নো অগ্ন একয়া” এই এক, এই ছয় মন্ত্র দ্বারা চতুর্গৃহীত ঘৃতেরআহুতি দিবেক, তৎপরে স্বিষ্টকৃৎ প্রভৃতি কর্ম্ম করিয়া, হোমশেষ সমাপন করিবেক এবং আহিতাগ্নি শ্রোত্রিয়কে গোযুগল দক্ষিণা দিবেক। যদি পত্নীদ্বয়ের মধ্যে একের মৃত্যু হয়, সেই অগ্নি দ্বারা তাহার দাহ করিয়া, গৃহস্থ, আধানবিধি অনুসারে, অন্য স্ত্রীর সহিত পুনরায় আধান করিবেক”।

 কিন্তু বৌ ধায়নসূত্রে অগ্নিদ্বয়ের মেলনপ্রক্রিয়া প্রকারান্তরে উক্ত হইয়াছে; যথা যদি গৃহস্থ দুই ভার্য্যার পাণিগ্রহণ করে, সে স্থ লে কিরূপ করিবেক? যৎকালে বিবাহ করিবেক, উভয় অগ্নির স্থাপন করিবেক; অপরাগ্নির অর্থাৎ দ্বিতীয় বিবাহের অগ্নির স্থাপন ও পরিস্তরণ করিয়া, ঘৃত গলাইয়া, স্রুচে চারি বার ঘূত গ্রহণ করিয়া, “নমস্তে ঋষে গদাব্যধায়ৈ ত্বা স্বধায়ৈ ত্বা মান ইন্দ্রাভিমতস্ত্বদৃষ্টা