পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৩৩

নহে। পূর্ব্বদর্শিত শৌনকবচনে ও আশ্বলায়নসূত্রে দৃষ্টি থাকিলে, সর্ব্বশাস্ত্রবেত্তা তর্কবাচস্পতি মহাশয় কদাচ সেরূপ অর্থ করিতেন না। ঐ দুই শাস্ত্রে, অগ্নিদ্বয়মেলনপ্রক্রিয়ার উপক্রমে, অগ্নিদ্বয়স্থাপনের যেরূপ ব্যবস্থা আছে; বৌধায়নসূত্রে ও, অগ্নিদ্বয়মেলনুপ্রক্রিয়ার উপক্রমে, অগ্নিদ্বয়স্থাপনের সেইরূপ ব্যবস্থা প্রদত্ত হইয়াছে। যথা,

শৌনকবচন

“পৃথক্ স্থণ্ডিলয়োরগ্নী সমাধায় যথাবিধি,”।

যথাবিধি পৃথক্‌ দুই স্থণ্ডিলে দুই অগ্নির স্থাপন করিয়া।

আশ্বলায়নসূত্র

“তৌ পৃথগুপসমাধায়”

দুই অগ্নির পৃথক স্থাপন করিয়া

বৌধায়নসূত্র

“উভাবগ্নী পরিচরেৎ”।

দুই অগ্নির স্থাপন করিবেক

সুতরাং, এই বাক্য দ্বারা বিবাহের যৌগপদ্য প্রতিপন্ন হইতে পারে, এরূপ কোনও লক্ষণ লক্ষিত হইতেছে না।

 তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের অবলম্বিত তৃতীয় বাক্য এই;

“দ্বয়োর্ভার্য্য য়োরন্বারব্ধয়োর্যজমানোহভিমৃশতি”।

দুই ভার্যার সহিত সমবেত হইয়া যজমান হোম করিবেক।

অগ্নিদ্বয় মেলনের পর, দুই পত্নীর সহিত সমবেত হইয়া, মিলিত অগ্নিদ্বয়ে যে আহুতি দিতে হয়, এই বাক্যদ্বারা তাহাই উক্ত হইয়াছে। যথা,

শৌনকবচন

“সমিধ্যেনং সমারোপ্য অয়ং তে যোনিরিত্যৃচ।

প্রত্যবরোহেত্যনয়া কনিষ্ঠাগৌ নিধায় তম্।