পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৮
বহুবিবাহ।

দিন বৈরাগ্য জম্মিবেক, সেই দিনেই, সে ব্যক্তি পরিব্রজ্যা আশ্রয় করিবেক। বৈরাগ্যপক্ষে, ঋণ পরিশোধের অনুরোধে তাহাকে এক দিনও গৃহস্থাশ্রমে থাকিতে হইবেক না; আর, বৈরাগ্য না জন্মিলে, যে আশ্রমের যে কাল নিয়মিত আছে, তাবৎ কাল সেই সেই আশ্রম অবলম্বন করিয়া থাকিতে হইবেক। সুতরাং, অবিরক্ত ব্যক্তিকে জীবনের দ্বিতীয় ভাগ, অর্থাৎ পঞ্চাশ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত, গৃহস্থাশ্রমে থাকিতে হইবেক; নতুবা, কিছু কাল ধর্ম্মকার্য্য করিলে ও পুত্রলাভ হইলে পর, স্ত্রীবিয়োগ ঘটিলেই তাহাকে গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগ করিতে হইবেক, শাস্ত্রের এরূপ অর্থ ও তাৎপর্য্য নহে। কলকথা এই, পরিব্রজ্যা অবলম্বনের দুই নিয়ম; প্রথম নিয়ম অনুসারে, যথাক্রমে ব্রহ্মচর্য্য, গাহস্থ্য, বানপ্রস্থ এই তিন আশ্রম নির্ব্বাহ করিয়া, জীবনের চতুর্থ ভাগে উহার অবলম্বন; আর দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, যে আশ্রমে যে অবস্থায় থাকুক, বৈরাগ্য জন্মিলে তদ্দণ্ডে উহার অবলম্বন। বৈরাগ্য না জন্মিলে, পঞ্চাশ বৎসরের পূর্ব্বে, গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগের বিধি ও ব্যবস্থা নাই; সুতরাং, পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্য নির্ব্বাহ হইলেও, স্ত্রীবিয়োগ ঘটিলে, গৃহস্থাশ্রমে থাকিতে ও পুনরায় দারপরিগ্রহ করিতে হইবেক; কেবল স্ত্রীবিয়োগ ঘটিয়াছে বলিয়া, সে অবস্থায়, বিনা বৈরাগ্যে, গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগ করিলে, অথবা গৃহস্থাশ্রমে থাকিয়া দারপরিগ্রহে বিমুখ হইলে, প্রত্যবায়গ্রস্ত হইতে হইবেক। তন্মধ্যে বিশেষ এই, আটচল্লিশ বৎসর বয়স হইলে, যদি স্ত্রীবিয়োগ ঘটে, সে স্থলে আর দারপরিগ্রহ করিবার আবশ্যকতা নাই। যথা,

চত্বারিংশদ্বৎসরণাং সাষ্টানাঞ্চ পরে যদি।
স্ত্রিয়া বিযুজ্যতে কশ্চিৎ স তু রণ্ডাশ্রমী মতঃ[১]


  1. উদ্ধাহতত্ত্বসৃত ভবিষ্যপুরাণ।