পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৫১

তিনি, অদ্ভুত বুদ্ধিশক্তিপ্রভাবে যে অভিনব ব্যবস্থার উদ্ভাবন করিয়াছেন, তদ্বারাও তাহাই বিহিত হইতেছে।

তিনি তৎপরে কহিতেছেন,

 ধর্ম্ম ও পুত্র এই বিশেষণবশতঃ রতিকামনমূলক বিবাহ সে সময়ে করিতে পারে, ইহা প্রতীয়মান হইতেছে।”

 তদীয় এই ব্যবস্থা যার পর নাই কৌতুককর। পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্যনির্বাহ হইলে যদি স্ত্রীবিয়োগ ঘটে, তবে “বানপ্রস্থ অথবা পরিব্রজ্যা আশ্রম আশ্রয় করিবেক", এই ব্যবস্থা করিয়া, “রতিকামনামূলক বিবাহ সে সময়ে করিতে পারে”, এই ব্যবস্থান্তর প্রদান করিতেছেন। তদনুসারে, আপস্তম্ব পুত্র দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হইতে পারে, পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যনির্বাহের পর স্ত্রীবিরোগ ঘটিলে, ধর্ম্মার্থে ও পুত্রার্থে বিবাহ না করিয়া, বানপ্রস্থ অথবা পরিব্রজ্যা আশ্রম অবলম্বন করিবেক, কিন্তু রতিকামনামূলক বিবাহ সে সময়ে করিতে পরিবেক। সুতরাং, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের উদ্ভাবিত অদ্ভুত ব্যাখ্যা ও অদ্ভুত ব্যবস্থা অনুসারে, অতঃপর রতিকামনামূলক বিবাহ করিয়া, সেই স্ত্রীর সমভিব্যাহারে, মোক্ষপথ অবলম্বন করিতে হুইবেক। সেবাদাসী সঙ্গে লইয়া, মোক্ষপথ অবলম্বন করা নিতান্ত মন্দ বোধ হয় না; তাহাতে ঐহিক ও পারত্রিক উভয় রক্ষা হুইবেক।

  “অতএব মনু দ্বিতীয় বিবাহের স্ত্রীবিরোগরূপ যে কল নির্দেশ করিয়াছেন, ধর্ম্ম ও পুত্রের মধ্যে একের অভাব স্থলেই তাহা অভিপ্রেত, নতুবা স্ত্রাবিয়োগ হইলেই পুনরায় বিবাহ করিবেক, এরূপ তাৎপর্য্য নহে"।

 তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের এই তাৎপর্য্যব্যাখ্যা শাস্ত্রানুসারিণী নহে। বৈরাগ্য না জন্মিলে, আটচল্লিশ বৎসর বয়সের পূর্ব্বে স্ত্রবিরোগ হইলে, পুনরায় বিবাহ করিতে হইবেক, ধর্ম্ম ও পুত্র উভয়ের সদ্ভাবও