পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৪
বহুবিবাহ।

থাকিত, তাহা হইলে তাহার নিষেধ হইতে পারিত।” এ স্থলে বক্তব্য এই যে, আমার মতে দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহের প্রাপ্তি সম্ভাবনা নাই, তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের এই নির্দেশ সম্পূর্ণ কপোলকম্পিত। আমার মতে, অর্থাং আমি শাস্ত্রের যেরূপ অর্থবোধ ও তাৎপর্য্যগ্রহ করিতে পারিয়াছি তদনুসারে, দুই প্রকারে দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহের প্রাপ্তি সম্ভাবনা আছে; প্রথম, স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি শাস্ত্রোক্ত নিমিত্ত নিবন্ধন দারান্তর পরিগ্রহ; দ্বিতীয়, রতিকামনামূলক রাগপ্রাপ্ত দারান্তর পরিগ্রহ। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত ঘটিলে, শাস্ত্রের বিধি অনুসারে, দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ আবশ্যক; আর, উৎকট রতিকামনার বশবর্ত্তী হইয়া, কামুক পুরুষ দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ করিতে পারে। আপস্তম্ব পূর্বোল্লিখিত দ্বাদশ সুত্র দ্বারা, পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যনিৰ্বাহ হইলে, দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ নিষেধ করিয়াছেন; আর, এয়োদশ সুত্র দ্বারা; পুত্রলাভ অথবা ধর্ম্মকার্য্য নির্বাহের ব্যাঘাত ঘটিলে, দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহের বিধি দিয়াছেন। তদনুসারে; ইহাই স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, পুত্রার্থে ও ধর্ম্মার্থে ভিন্ন অদ্য কোনও কারণে, দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহে অধিকার নাই। মনু প্রভৃতি, যদৃচ্ছাস্থলে, পূর্বপরিণীত সবর্ণ স্ত্রীর জীবদ্দশায়, রাগপ্রাপ্ত অসবর্ণবিবাহের অনুমোদন করিয়াছেন; তাদৃশ বিবাহ আপস্তম্বের অভিমত বোব হইতেছে না; এজন্য, তদীয় ধর্মমৃত্রে রতিকামনামূলক অসবর্ণবিবাহ, অসবর্ণগৰ্বসন্তুত পুত্রের অংশনির্ণয় প্রভৃতির কোনও উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় না।

 “তাঁহার মতে পুত্রের অভাবে দারসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ বিহিত হইলেও, অগ্নিহোত্রাদি সমস্ত কর্ত্তব্য ধর্মের অভাবেও, পুত্রসত্ত্বে দারান্তর পরিগ্রহ নিষিদ্ধ হইয়াছে’’। এস্থলে ব্যক্তব্য এই যে, পূর্বপরিণীত স্ত্রীর সহযোগে অগ্নি-