পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্মৃতিরত্নপ্রকরণ

 শ্রীযুত ক্ষেত্রপালস্মৃতিরত্ন মহাশয় যে পুস্তক প্রচার করিয়াছেন, উহার নাম “বহুবিবাহবিষয়ক বিচার”। যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহকাণ্ড শাস্ত্রবহিভূত ব্যবহার বলি, আমি যে ব্যবস্থা প্রচার করিয়াছিলাম, স্মৃতিরত্ন মহাশয়ের পুস্তকে তদ্বিষয়ে কতিপয় আপত্তি উত্থাপিত হইয়াছে। ঐ সকল আপত্তি যথাক্রমে উল্লিখিত ও আলোচিত হইতেছে। তদীয় প্রথম আপত্তি এই,—

 “এই সকল লিখন দেখিয়া সন্দেহ ও আপত্তি উপস্থিত
 হইতেছে, একমাত্র সবর্ণাবিবাহকে নিত্য বিবাহ ও ভার্য্যার
 বন্ধ্যাত্বাদি কারণবশতঃ বহুসবর্ণাবিবাহকে নৈমিত্তিক বিবাহ
 বলিয়াছেন। আর যদৃচ্ছাক্রমে অসবর্ণাবিবাহকে কাম্য বিবাহ
 বলিয়াছেন। ইহা দ্বারা সুস্পষ্ট বোধ হইতেছে যে, উক্ত নিত্য
 নৈমিত্তিক সবর্ণাবিবাহ হইতে কাম্য অসবর্ণাবিবাহ সম্পূর্ণরূপে
 পৃথক্” (১)।

[১]

 "উক্তস্থলে আবার বলিয়াছেন সবর্ণাবিবাহই ব্রাহ্মণ,
 ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এই তিন বর্ণের পক্ষে প্রশস্ত কল্প এবং বলিয়াছেন
 আপন অপেক্ষা নিকৃষ্ট বর্ণে বিবাহ করিতে পারে।
 ইহাতে বোধ হইতেছে সবর্ণাবিবাহ প্রশস্ত, অসবর্ণাবিবাহ
 অপ্রশস্ত। কিন্তু সবর্ণাবিবাহ নিত্য নৈমিত্তিক, অসবর্ণাবিবাহ
 কাম্য, ইহা বলিলে ঐ দুই বিবাহ প্রশস্ত ও অপ্রশস্ত বলিয়া
 মীমাংসা করিতে পারা যায় না। উভয় বিবাহকে নিত্য বা নৈমি-

  1. বহুবিবাহবিষয়ক বিচার, ৫ পৃষ্ঠা।