পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৮১

এ স্থলে বিশ্বেশ্বরভট্ট সবর্ণাবিবাহকে প্রশস্ত কল্প,অসবর্ণাবিবাহকে অপ্রশস্ত কল্প, বলিয়া স্পষ্ট বাক্যে নির্দ্দেশ করিয়াছেন। অতএব

 “সবর্ণাবিবাহ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এই তিন বর্ণর পক্ষে প্রশস্ত কল্প। কন্ু যদি কোনও উৎকৃষ্ট বর্ণ যথাবিধি সবর্ণাবিবাহ করিয়া, যদৃচ্ছাক্রমে পুনরায় বিবাহ করিতে অভিলাষী হয়, তবে সে আপন অপেক্ষা নিকৃষ্ট বর্ণে বিবাহ করতে পারে” (৬)।[১]

এই লিখন উপলক্ষ করিয়া, স্মৃতিরত্ন মহাশয়, সবর্ণাবিবাহ প্রশস্ত কল্প, অসবর্ণাবিবাহ অপ্রশস্ত কল্প, এই ব্যবস্থার উপর যে দোষারোপ করিয়াছেন, তাহা সম্যক্ সঙ্গত বোধ হইতেছে না।

 স্মৃতিরত্ন মহাশয়ের উত্থাপিত দ্বিতীয় আপত্তি এই;—

 “ চারি ইত্যাদি জাতীয় সংখ্যা বলাতে ব্রাহ্মণের পাঁচ ছয়টা
 ব্রাহ্মণী বিবাহ শাস্ত্রবিরুদ্ধ নহে, এইটী দায়ভাগকর্তার অভি-
 প্রেত অর্থ” (৭)।
[২]

এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, দায়ভাগলিখন অথবা দায়ভাগের টীকাকার- দিগের লিখন দ্বারা যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহব্যবহারের সমর্থন সম্ভব ও সঙ্গত কি না, তাহা তর্কবাচস্পতিপ্রকরণের তৃতীয় পরিচ্ছেদে প্রদর্শিত হইয়াছে; এ স্থলে আর তাহার আলোচনার প্রয়োজন নাই (৮)।[৩]


 স্মৃতিরত্ন মহাশয়ের তৃতীয় আপত্তি এই;—

২। “আর ঐ অসবর্ণাবিবাহবিধিকে পরিসংখ্যাবিধি, পরিসংখ্যা
বিধির নিয়ম এই যে স্থল ধরিয়া বিধি দেওয়া যায় তদ্ব্যতিরিক্ত
স্থলে নিষেধ সিদ্ধ বলিয়াছেন; সুতরাং যদৃচ্ছাক্রমে অসবর্ণা


  1. বহুবিবাহবিচার, প্রথম পুস্তক, ৬ পৃষ্ঠা}}
  2. বহুবিবাহবিষয়ক বিচার, ১৪ পৃষ্ঠা।
  3. এই পুস্তকের ১১৪ পৃষ্ঠার ১২ পাক্তি হইতে ১১৯ পৃষ্ঠা পর্যন্ত্য দেখ।