পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৭

বিবাহে সবর্ণা শ্রেষ্ঠা অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্টা, এ কথা বলিলে, অসবর্ণাও প্রথমবিবাহে পরিগৃহীত হইতে পারে। কিন্তু অগ্রে সবর্ণা বিবাহ না করিয়া, অসবর্ণা বিবাহ করা শাস্ত্রকারদিগের অভিমত নহে। যথা,

ক্ষত্রবিট শূদ্রকন্যাস্তু ন বিবাহ্যা দ্বিজাতিভিঃ।
বিবাহ্যা ব্রাহ্মণী পশ্চাদ্বিবাহ্যা ক্কচিদেব তু[১]

 দ্বিজাতিরা ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্রকন্যা বিবাহ করিবেক না; তাহারা ব্রাহ্মণী অর্থাৎ সবর্ণ বিবাহ করিবেক; পশ্চাৎ অর্থাৎ অগ্রে সবর্ণা বিবাহ করিয়া, স্থলবিশেষে ক্ষত্রিয়াদিকন্যা বিবাহ করিতে পারিবেক।

তবে সবর্ণার অপ্রাপ্তি ঘটিলে, অসবর্ণা বিবাহ করিবেক, এরূপ বিধি আছে। যথা,

 অলাভে কন্যায়াঃ স্নাতকব্রতং চরেৎ অপিবা ক্ষত্রিয়ায়াং পুত্রমুৎপাদয়েৎ, বৈশ্যায়াং বা শূদ্রায়াঞ্চেতোকে[২]

 সজাতীয়া কন্যার অপ্রাপ্তি ঘটিলে, স্নাতকব্রতের অনুষ্ঠান অথবা ক্ষত্রিয়া বা বৈশ্যকন্যা বিবাহ করবেক। কেহ কেহ শুদ্রকন্যাবিবাহেরও অনুমতি দিয়া থাকেন।

এ অনুসারে, প্রথম বিবাহে কথঞ্চিৎ অসবর্ণার প্রাপ্তিকল্পনা করিলেও, প্রথম বিবাহে সবর্ণা শ্রেষ্ঠা, এ কথা সংলগ্ন হইতে পারে না। প্রশস্য শব্দের উত্তর ইষ্ঠপ্রত্যয় হইয়া শ্রেষ্ঠশব্দ নিষ্পন্ন হইয়াছে। বহুর মধ্যে একের উৎকর্যাতিশয় বোধনস্থলেই, ইষ্ঠ প্রত্যয় হইয়া থাকে। এস্থলে সবর্ণা ও অসবর্ণা এই দুইমাত্র পক্ষ প্রাপ্ত হইতেছে, বহু পক্ষের প্রাপ্তি ঘটিতেছে না। সুতরাং প্রথম বিবাহে সবর্ণা শ্রেষ্ঠা, এ কথা

  1. বীরমিত্রোদয়ধৃত ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ।
  2. পরাশরভাষ্য ও বীরমিত্রোদয়ধৃত পৈঠী__বচন