পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৯

ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা, শূদ্রা অনুলোমক্রমে ভার্য্যা হইবেক, এই ব্যাখ্যা প্রতিপন্ন হয়; এবং এই ব্যাখ্যা যে সর্ব্বাংশে নির্দোষ, তদ্বিষয়ে অণুমাত্র সংশয় হইতে পারে না।

 তর্কবাচস্পতি মহাশয় কুল্লুকভট্টের ব্যাখ্যা দর্শনে, যার পর নাই প্রফুল্লচিত্ত হইয়াছেন, এবং দায়ভাগ, পরাশরভাষ্য,বীরমিত্রোদয়, মদনপারিজাত প্রভৃতি গ্রন্থে সবিশেষ দৃষ্টি না থাকাতে, মনুবচনের সর্ব্বসম্মত চিরপ্রচলিত যথার্থ অর্থকে আমার কপোলকল্পিত অলীক, অভিনব, অপ্রামাণিক অর্থ স্থির করিয়া, আল্লাদে গদগদ হইয়া, ধর্ম্মশাস্ত্রবিষয়ে স্বীয় পারদর্শিতার পরিচয় প্রদান করিয়াছেন।

 কুল্লুকভট্টের উল্লিখিত ব্যাখ্যা অবলম্বন করিয়া, তর্কবাচস্পতি মহাশয় মনুবচনের যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা উদ্ধৃত হইতেছে;—


 “অগ্রে স্বোক্তধর্ম্মরতিপুত্ররূপবিবাহকলত্রয়মধ্যে শ্রেষ্ঠে ধর্ম্মে ইত্যর্থঃ নিমিত্তার্থে সপ্তমী তথাচ ধর্ম্মনিমিত্তে দারকর্ম্মণি দারত্বসম্পাদকে সংস্কাররূপে ক্রিয়াকলাপে দ্বিজাতীনাং সবর্ণা প্রশস্তা মুনিভিবিহিতা তু পুনঃ কামতঃ রতিকামতঃ বহুপুত্রকামতশ্চ প্রবৃত্তানাং তদুপারসাধনার্থং যত্নবতাং দারকর্ম্মণীত্যনুষজ্যতে ইমাঃ বক্ষ্যমাণাঃ সবর্ণাদয়ঃ ক্রমশঃ বর্ণক্রমেণ বরাঃ বিহিতত্বেন শ্রেষ্ঠাঃ[১]।”

 দ্বিজাতিদিগের ধর্ম্মার্থ বিবাহে সবর্ণা বিহিতা, কিন্তু যাহারা রতিকামনা ও বহুপুত্রকামনাবশতঃ বিবাহে যত্নবান্ হয়, তাহাদের পক্ষে বক্ষ্যমাণ সবর্ণাপ্রভৃতি কন্যা বর্ণক্রমে শ্রেষ্ঠা।

দৈববশাৎ তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের লেখনী হইতে বচনের পূর্ব্বার্দ্ধের প্রকৃত ব্যাখ্যা নির্গত হইয়াছে; যথা, “দ্বিজাতিদিগের ধর্ম্মার্থ বিবাহে

  1. বহুবিবাহবাদ| ৩৭ পৃষ্ঠা।