পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৮
বহুবিবাহ।

ও ক্রিয়াবান্, তাহার পক্ষে সদ্যঃশৌচ, আর যে ব্যক্তি অগ্নিযুক্ত ও বেদযুক্ত, তাহার পক্ষে একাহাশৌচ ব্যবস্থাপিত হইয়াছে।

 অতঃপর, কবিরত্ন মহাশয়কে অগত্যা স্বীকার করিতে হইতেছে, সদ্যঃশৌচ ও একাহাশৌচ এক পদার্থ নহে; সুতরাং, দক্ষসংহিতার ন্যায়, পরাশরবচনে অগ্নিযুক্ত ও বেদযুক্ত ব্রাহ্মণের পক্ষে যে একাহাশৌচের বিধি আছে, তাহা অবলম্বন করিয়া, “অগ্নিবেদ উভয়ম্বিত দ্বিজের সদ্যঃশৌচ,” এই ব্যবস্থা প্রচার করা নিতান্ত অনভিজ্ঞের কর্ম্ম হইয়াছে। কবিরত্ন মহাশয়, ঐ বচনের সহিত একবাক্যতা করিয়া,

 অনাশ্রমী ন তিষ্ঠেত্তু, দিনমেকমপি “দ্বিজঃ”।

 “দ্বিজ” আশ্রমবিহীন হইয়া এক দিনও থাকিবেক না।

এই দক্ষবচনের ব্যাখ্যা করিতে উদ্যত হইয়াছেন। তাঁহার ব্যাখ্যা অনুসারে, পরাশরবচনে সাগ্নিক দ্বিজের পক্ষে সদ্যঃশৌচ বিহিত হইয়াছে; আর, দক্ষবচনে বিনা আশ্রমে এক দিনও থাকিতে নিষেধ আছে; সুতরাং, স্ত্রীবিয়োগ হইলে, তাদৃশ দ্বিজ স্ত্রীর দাহান্তে স্নান ও আচমন করিয়া, শুচি হইয়া, সেই দিনেই বিবাহ করিতে পারে। কিন্তু উপরি ভাগে যেরূপ দর্শিত হইল, তদনুসারে, তাঁহার অবলম্বিত পরাশরবচন একাহাশোৌচবিধায়ক, সদ্যঃশৌচবিধায়ক নহে; সদ্যঃশৌচবিধায়ক না হইলে, উভয় বচনের একবাক্যতা কোনও ক্রমে সম্তবিতে পারে না। আর, কবিরত্ন মহাশয়ের ইহাও অনুধাবন করিয়া দেখা আবশ্যক ছিল, দক্ষবচনে দ্বিজশব্দ প্রযুক্ত আছে; দ্বিজশব্দ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ত্রিয়, বৈশ্য এই তিন বর্ণের বাচক; সুতরাং, দক্ষবচনে ত্রিবিধ দ্বিজের পক্ষে ব্যবস্থা প্রদত্ত হইয়াছে। কিন্তু পরাশরবচনে বিপ্রশব্দ প্রযুক্ত আছে; বিপ্রশব্দ ব্রাহ্মণমাত্রবাচক; সুতরাং, পরাশরবচনে কেবল ব্রাহ্মণের পক্ষে ব্যবস্থা প্রদত্ত হইয়াছে, ত্রিবিধ দ্বিজের পক্ষে ব্যবস্থা প্রদত্ত হয় নাই; এজন্যও, এই দুই বচনের এক