পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪০
বহুবিবাহ।

কিন্তু বৈদ্যকাদি শাস্ত্র কিঞ্চিন্মাত্রও পঠিত ছিল না রাজানুগ্রহেতে স্বপিতৃ- পদাভিষিক্ত হওয়াতে রোগিরা চিকিৎসার্থে তাহার সন্নিধিতে যাওয়া আসা করিতে লাগিল। পরে এক দিবস এক নেত্ররোগী ঐ রামকুমার বৈদ্যপুত্রের নিকটে আসিয়া কহিল হে বৈদ্যপুত্র আমি অক্ষিপীড়াতে অতিশয় পীড়িত আছি দেখ আমাকে এমন কোন ঔষধ দেও যাহাতে আমার নয়নব্যাধি শীঘ্র উপশম পায়। রুগ্ননেত্রের এই বাক্য শ্রবণ করিয়া ঐ চিকিৎসকসুত অতিবড় এক পুস্তক আনিয়া খুলিবামাত্র এক বচনাৰ্দ্ধ দেখিতে পাইল সে বচনাৰ্দ্ধ এই

 “নেত্ররোগে সমুৎপন্নে কর্ণো ছিত্ত্বা কটিং দহেৎ

ইহার অর্থ নেত্রৱোগ হইলে নেত্ররোগির কর্ণদ্বয় ছেদন করিয়া লৌহ তপ্ত করিয়া তাহার কটিতে দাগ দিবে এই বচনাৰ্দ্ধ পাইয়া ঐ ভিষক্‌নন্দন নেত্ররোগিকে কহিল হে রুগ্নাক্ষ এই প্রতীকারে তোমার ব্যাধির শীঘ্র শান্তি হইবে যেহেতুক গ্রন্থ মুকুলিত করামাত্রেই এ ব্যাধির ঔষধের প্রমাণ পাওয়া গেল এ বড় সুলক্ষণ। রোগী কহিল সে কি ঔষধ ভিষক্‌সন্তান কহিল তুমি শীঘ্র বাটী গিয়া এই প্রয়োগ কর তীক্ষ্ন ধার শাণিত এক ক্ষুর আনিয়া স্বকীয় দুই কর্ণ কাটিয়া সন্তপ্ত লৌহেতে দুই পাছাতে দুই দাগ দেও তবে তোমার চক্ষুঃপীড়া আশু শান্ত হইবে ইহা শুনিয়া ঐ লোচনরোগী আর্ত্ততাপ্রযুক্ত কিঞ্চিন্মাত্র বিবেচনা না করিয়া তাহাই করিল।

 অনন্তর রোগী এক পীড়োপশনার্থ চেষ্টাতে অধিক পীড়াদ্বয়ে অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়া ঐ বৈদ্যের নিকটে পুনর্ব্বার গেল ও তাহাকে কহিল হে বৈদ্যপুত্র নেত্রের জ্বালা যেমন তেমনি পোঁদের জ্বালায় মরি। বৈদ্যপুত্র কহিল ভাই কি করিবে রোগ হইলে সহিষ্ণু করিতে হয় আঁজি শাস্ত্রানুসারে তোমাকে ঔষধ দিয়াছি আতুর হইলে কি হবে “নহি সুখং দুঃখৈর্ব্বিনা লভ্যতে”। এইরূপে রোগী ও বৈদ্যেতে কথোপকথন হইতেছে ইতিমধ্যে অন্যতম এক চিকিৎসক তথা আসিয়া উপস্থিত হইল। ঐ যমসহোদর রামকুমার নামে মুর্খ বৈদ্যতনয়ের পল্লবগ্রাহি পাণ্ডিত্যপ্রযুক্ত